বিয়ানীবাজার উপজেলা ও বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুরের মধ্যবর্তী সারপার গ্রামের গাঙপার এলাকায় প্রধান সড়ক কেটে কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। তবে ব্যস্ততম এই সড়কে কালভার্ট নির্মাণকাজ চলাকালে দুইপাশের কোথাও নেই কোনো বিকল্প রাস্তা। এ নিয়ে দুই উপজেলার মানুষ যান চলাচলসহ হেঁটে চলতেও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের পুরো অংশের মাটি কেটে খাঁদ করে দেওয়া হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে কাজ চলছে৷ তাছাড়া চলমান কালভার্ট নির্মাণ কাজও রয়েছে মন্থর গতির। এদিকে নির্মাণকাজ চলাকালীন রাস্তার পাশে কোনো বিকল্প সড়কের কোনো ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। তাই অনেক যানবাহন এখানেই এসে পূর্বের গন্তব্যে ফিরে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া অসুস্থ রোগীয়ে হাসপাতালে যাতায়াত, বোরো মৌসুমের পাকা ধান ঘরে তোলা ও পথচারীদের চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

কথা হয় মোটরসাইকেল আরোহী মাহিন জাকারিয়াড় সাথে। তিনি বলেন, জরুরি কাজে বের হয়ে এই জায়গায় আসার পর দেখি রাস্তার মাটি কেটে কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু বিকল্প রাস্তা না থাকাউ বাইক নিয়ে ওপাশে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে বাইক নিয়ে বাড়িতেই ফিরে যাচ্ছি।

সিএনজি অটোরিকশা চালক আফসার উদ্দিন বলেন, এ রকম কাজ করার জন্য আগে থেকে রাস্তার পাশে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোনো বিকল্প সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেককেই জরুরি কাজে রাস্তার অর্ধেক এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে।

মুড়িয়া ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, রাস্তা পুরো কাজ একসাথে না করে অর্ধেক অর্ধেক ভাগ করে কাজ করার জন্য টিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা না মেনে পুরো রাস্তা কেটে কাজ করছে। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে আমরা একটা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তবে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খয়েরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান।

উল্লেখ্য, সীমান্তবর্তী সড়কের অন্তর্ভুক্ত এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিয়ানীবাজার উপজেলার যান ও স্থানীয়রা পা হেঁটে পথ চলাচল করেন। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার যান চলাচল করেও প্রতিনিয়ত। কিন্তু সড়কটি ভাঙ্গনের কবলে পরে অর্ধ রাস্তা অংসজুড়ে এক বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এ নিয়ে পূর্বেও বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রথম অনলাইন পত্রিকা ‘বিয়ানীবাজার নিউজ২৪.কম’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

কুড়ারবাজারে মরহুম হাজী আব্দুল ওয়াদুদের পরিবারের উদ্যোগে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা বিতরণ