বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে আউশচাষীরা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দিনের পর দিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমেই আউশ ফসলি জমিগুলো আবাদ করেন। সেই অক্লান্ত পরিশ্রমই আজ কৃষকের আনন্দের পাকা ধানের ঘ্রাণ। জমিতে জমিতে দোল খাচ্ছে পাকা ও আধা পাকা ধান। প্রাকৃতিক অপরূপ এই সৌন্দযের্ কৃষকের বুকে যেন অপার আনন্দ। ধান কাটা নিয়ে চারদিকে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আউশ ধান কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। শরতের সকাল থেকে শুরু হয়ে পড়ন্ত বিকাল পযর্ন্ত মাঠে মাঠে ধান কাটা, মাড়াই, বাছাই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষাণীরা।

বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জুড়ীতে তিন হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় সমপরিমাণ আবাদ হয়েছে। তবে এবার ধানে পোকার আক্রমণ ও কোনো ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়নি। ফলে, ফলন অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো হয়েছে।

এদিকে, বড়লেখায় তিন হাজার ৪০০ হেক্টর আউস চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হয়। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় তিন হাজার ৩৫০ হেক্টর জমি আবাদ হয়েছে। তবে ফলন বাম্পার হয়েছে। সবচেয়ে ভালো ফলন হয়েছে ব্রি-৪৮ জাতের ধানের। প্রতি হেক্টরে গড় ৪.৯০ টন ধান পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আউশচাষী কৃষক হাজি নজির আহমদ (৬০) জানান, আউশ ধান বষার্র শুরুতে আবাদের উপযুক্ত সময়। বোরো চাষের মতো বেশি সেচ ও সার দিতে হয় না। এ সময় পযার্প্ত বৃষ্টি থাকায় সঠিকভাবে পরিচর্যা করলেই ফলন ভালো পাওয়া যায়।

বড়লেখা উপজেলা কৃষি কমর্কতার্ দেবল সরকার ও জুড়ী উপজেলা কমর্কতার্ মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, উন্নতমানের বীজসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো ফলন সম্ভব হয়েছে।