পুনরায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সিলেটের ক্রীড়া সংগঠক মাহিউদ্দিন সেলিম।

শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ভোটগ্রহণ শেষে রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে মাহি উদ্দিন সেলিমকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সেলিম এরআগেও এই পদে ছিলেন। এবিমিডিয়া গ্রুপের অন্যতম পরিচালক মাহিউদ্দিন সেলিম সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের দুধবকসি গ্ৰামের সন্তান।

বাফুফের নির্বাচনে আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। এনিয়ে টানা চতুর্থবারের মত সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তিনিও টানা চতুর্থবারের মতো সহ-সভাপতি হলেন।

সভাপতি পদে বিজয়ী সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৯৪টি। তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক ১টি ও বাদল রায় ৪০টি ভোট পেয়েছেন। আর সহ-সভাপতি পদে সালাম মুর্শেদী ভোট পেয়েছেন ৯১টি। প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি।

ভোট গণনার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন ছোট ব্রিফিংয়ে জানান, সবার আগে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতির ভোট গণনা করা হবে। সেই অনুযায়ী অনানুষ্ঠানিকভাবে এই ফল জানা যায়।

এছাড়া চারটি সহ-সভাপতি পদের মধ্যে তিনটিতে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইমরুল হাসান (৮৯), কাজী নাবিল আহমেদ (৮১) ও আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক (৭৫)। তাবিথ আউয়াল ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহী সমান ৬৫টি করে ভোট পেয়েছেন। ফলে চতুর্থ সহ-সভাপতি পদের জন্য এই দুই প্রার্থীর মধ্যে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

চারটি সহ-সভাপতি পদে মোট ৮ জন লড়াই করেছেন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচন করছেন কাজী নাবিল আহমেদ, ইমরুল হাসান, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও আমিরুল ইসলাম বাবু। সমন্বয় পরিষদ থেকে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান লড়ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন তাবিথ আউয়াল। আর ১৫টি সদস্য পদে লড়াই করেছেন ৩৪ জন প্রার্থী।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মেজবাহ উদ্দিন। কমিশনার হিসেবে ছিলেন মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী ও মোহাতার হোসেইন সাজু। নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে ভেন্যু হোটেল সোনাগাঁওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ভোটের দিন বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ ও এনএসআইয়ের সদস্যরাও।