কুশিয়ারার দু’কুল উপচে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন, সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের ১২টি এলাকার তলিয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের বিয়ানীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে মাথিউরা, তিলপাড়া, মুড়িয়া, মোল্লাপুর, লাউতা ইউনিয়নসহ পৌরসভাসহ অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শংকা রয়েছে। এতে বাড়তে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা। বুধবার সুরমা-কুশিয়ারা এ দুই নদীতে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর।

তিনি জানান, বন্যার্থদের জন্য উপজেলার ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত আলীনগর ইউনিয়নের রায়খাইলে ১৫টি, কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গারজুরে ৭টি এবং চারখাই ইউনিয়নের চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। কবিলত এলাকায় চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পৌছে দেয়া হচ্ছেএ পর্যন্ত্র বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ৬ মেট্রিকটন বরাদ্ধ এসেছে এবং গতকাল বুধবার ২২ মেট্রিক টন এবং ১০ হাজার প্যাকেট শোক খাবার চাহিদা চাওয়া হয়েছে।

বুধবার বিকালে কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং সুরমা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

কুশিয়ারার পানি কুল উপচে এবং ডাইক ভেঙ্গে সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের কাকরদিয়া, মেওয়ার মায়নচত্বর, বৈরাগী, দুবাগবাজার, গাছতলা, রাধমাসহ পনেরটি অংশ তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়া ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া বানেরপানিতে বৈরাগীবাজার, দুবাগ বাজারসহ বেশ কিছু হাটবাজার তলিয়ে গেছে। বানের পানিতে কবলিত হয়েছে দুবাগ ইউনিয়নের জমসেদ উচ্চ বিদ্যালয়, দুবাগ স্কুল এ- কলেজ, কাকরদিয়া তেরাদল উচ্চ বিদ্যালয়, মেওয়া কওমি মাদ্রাসা, মেওয়া ও দুবাগ মসজিদ এবং শেওলা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স।

বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহমেদ রাশেদুন নবী জানান, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উপজেলার প্রায় ১৫০ হেক্টর ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। কবিলত এলাকার বাড়িঘর, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উছে গেছে।