যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিসের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী ও রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গসহ দূতাবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর জাতির পিতা ও তার পরিবারবর্গ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এসময় দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এ দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।

পরে আয়োজিত সুবর্ণ জয়ন্তী পেরিয়ে স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিষ্ঠ বিষয়ক আলোচনা পর্বে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। রাষ্ট্রদূত তালহা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে তার অসামান্য ও কালজয়ী নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এছাড়া জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিগত এক দশকের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সূচকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে যার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আজ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সুপরিচিত হবার সম্মান লাভ করেছে। এসময় তিনি রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানান এবং দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের বিষয়ে সজাগ থাকতে অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানের সর্বশেষ পর্বে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।