চলতি বছর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ফুটবলে ফর্টিস এফ.সি এর সময়টা খুব ভালো যাচ্ছিলো না। প্রথম লেগে খুব বেশি ভালো পারফর্মও করতে পারেনি তারা। তাই দ্বিতীয় লেগে নিজেদের দলটাকে আরো শক্তিশালী করতে তারা দলে ভেড়ায় বিয়ানীবাজার ফুটবলের লোকাল হিরো জিল্লুরকে।

ফর্টিসের জার্সিতে ২য় লেগের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন বর্তমান সময়ে বিয়ানীবাজারসেহ সিলেট জেলার অন্যতম সেরা ফুটবলার তরুণ তুর্কী জিল্লুর রহমান। ১১ ম্যাচের জন্য সিলেটের ফুটবলের এই সুপারস্টারকে দলে ভেড়ায় ফর্টিস। ফলও পায় হাতেনাতে।

জিল্লুরকে দলে নিয়ে যে কাজের কাজটা করেছে ফর্টিস সেটা বুঝাতে বেশি সময় নেননি এই তারকা স্টাইকার। প্রথম ম্যাচেই গোল করে নিজের জাত চিনিয়েছেন এবং একই সাথে হয়ে যান দলের প্রাণভোমরা। এরপর তো বাকি সব ইতিহাস!

খাদের কিনারায় থাকা ফর্টিসকে একাই টেনে তুলেছেন ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে। শুধুই কি গোল? সাথে ছিলো এসিস্টও।

প্রথম লেগ শেষে ৭ নম্বরে থাকা ফর্টিস, জিল্লুরের অন্তর্ভক্তিতে দ্বিতয় লেগে উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বরে। যদিও এখনো নিশ্চিত হয়নি বিপিএল খেলা। পরের ম্যাচের রেজাল্ট-ই বলে দেবে সেটা।

কিন্তু এর আগে জিল্লুরের পারফরম্যান্স ছিলো সত্যিই ঈর্ষণীয়। ১১ ম্যাচ খেলে করেছেন ১২ গোল, সাথে ৪টি এসিস্ট। শুধু এটুকুই বলে দেয় দলের জয়ে কতটুকু প্রভাব ছিল এই ফুটবলার।

২ লেগ মিলিয়ে নিজ দলের এককভাবে সর্বোচ্চ গোল দাতা জিল্লুর লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা! তবে সর্বোচ্চ গোলা দাতা জিল্লুর খেলেছেন মাত্র ১১ ম্যাচ। তার দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হাসানুজ্জামানের গোল ২২ ম্যাচে ৭ টি। এতেই ফর্টিসে জিল্লুরের মাহাত্ম্য বুঝা যায়। একাই টেনে তুলেছেন দলকে।

ফর্টিসের হয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরার জিল্লুরের এই পারফরম্যান্সে গর্বিত পুরো সিলেট। ফর্টিসের “ওয়ান ম্যান আর্মি” জিল্লুর নিশ্চিতভাবেই খেলছেন আগামী বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল। ফর্টিসের হয়ে যে পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন তিনি এতে তার জন্য খুলে যেতে পারে জাতীয় দলের দরজাও। বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্টাইকারদের অব্যাহত ব্যর্থতায় তরুণ জিল্লুর হতে পারেন সম্ভাবনার পরশ।

কোভিড ভ্যাকসিন: প্রথমে উপেক্ষা করলেও টিকা নিতে বিয়ানীবাজারবাসী এখন উদগ্রীব