বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ নিয়োগ এখনও আলোচনা পর্যায়েই রয়েছে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত সেভাবে সম্ভাব্য কোচের নামও প্রকাশ করেনি বিসিবি। তবে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল কোচের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।

এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন লন্ডনে অপেক্ষা করছেন প্রধান কোচের নিয়োগ নিশ্চিত করতেই। গতকাল বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, একজন সার্বক্ষণিক কোচ চান তারা। এ ধরনের একজন কোচ যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দিতে চায় বিসিবি।

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেনকে পছন্দ বিসিবির। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পরও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সেবার পারিবারিক কারণ দেখিয়ে টাইগারদের কোচ হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ।

তবে সেবার কোচ হতে রাজি না হলেও কোচ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। কারস্টেনের পরামর্শেই ২০১৮ সালের জুনে স্টিভ রোডসকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় এই ইংলিশের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে রোডসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার আগেই কারস্টেনকে প্রস্তাব দেয় বিসিবি। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, এই দক্ষিণ আফ্রিকান মাশরাফিদের কোচ হতে রাজিও ছিলেন। তার নিয়োগ ঝুলে গেছে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে। কারস্টেন মাসে ৫০ হাজার ডলার বেতন চেয়েছেন বিসিবির কাছে।

তাছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০ টুর্নামেন্টেও কাজের সুযোগ চেয়ে শর্ত জুড়ে দেন। এ কারণেই তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিসিবি। তবে তাকে পেতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিসিবি। যদিও ভারতের প্রধান কোচের পদের জন্যও আবেদন করেছেন কারস্টেন।

এদিকে প্রত্যাশিত প্রার্থী না পেয়ে গত ১১ জুলাই টাইগার ক্রিকেট ডটকমে আন্তর্জাতিক কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয় বিসিবি। গত ১৮ জুলাই ছিল আবেদনের শেষ সময়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কতজন কোচ আবেদন করেছেন গতকাল পর্যন্ত জানাতে পারেনি বিসিবি। বিশ্বকাপের পর পর লন্ডনে আইসিসির সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভা থাকায় বোর্ড সভাপতি পাপন এবং সিইও নিজামউদ্দিন দেশে ছিলেন না। সিইও শনিবার দেশে ফিরলেও সম্ভাব্য কোচদের ফাইলগুলো দেখেননি।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যে কোচরা যোগাযোগ করছেন বোর্ড যদি মনে করে তাদের ইন্টারভিউ নেওয়ার দরকার আছে, যদি পরিস্থিতি হয় তাহলে ইন্টারভিউ হবে। অনেকেই হয়তো আগ্রহী আছেন, আমরা জানি না। আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের নাম জানার চেষ্টা করছি। কেউ আগ্রহ দেখালে তার সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’

‘অনেক সময় আগ্রহী থাকলেও সে হয়তো জানে না, তার এজেন্ট হয়তো জানে না। এ রকম পরিস্থিতিতে একটি উন্মুক্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। যারা সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হবে তাদের সঙ্গেই আলোচনা করে বিষয়টা চূড়ান্ত করব।’