বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলাসহ চার উপজেলার মানুষের যাতায়াত সহজতর করতে ‘বহর গ্রাম-শিকপুর ব্রীজ ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নকশা প্রণয়নের পর সেতু বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।’ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি’র ৭১ বিধিতে উত্থাপিত দাবী’র জবাবে সংসদে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি।

একাদশ জাতীয় সংসদের ৪র্থ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ ক বিধি অনুযায়ী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি গোলাপগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর উপর ‘বহর গ্রাম-শিকপুর’ সেতুর প্রক্রিয়া ও কাজ তরান্বিত করা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে চান এবং এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে সেতু নির্মাণ করার লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী’র মনযোগ আকর্ষণ করে লিখিত দাবী উত্থাপন করেন।

জবাবে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি জানান, ইতিমধ্যে জলবিদ্যুৎ গবেষণা, টেকনো অর্থনৈতিক গবেষণা, ইআইএ প্রতিবেদন (Hydromorphological Study, Techno Economical Study, EIA Report) সম্পন্ন হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ ১২.২০ মি. ভার্টিকাল এবং ৭৬.২২ মি. অনুভূমিক নেভিগেশন ছাড়পত্র প্রদান করেছে। তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএ এর নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজাইন ফার্ম নিয়োগপূর্বক সকশা প্রস্তুতের পর ব্রীজ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘিরঘাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বহরগ্রাম-শিকপুরে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। মন্ত্রী ঘোষণা শেষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল সিলেট অফিস সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় পদক্ষে গ্রহণ করে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের প্রচেষ্টায় বুয়েটের প্রকৌশলী ও জাইকার প্রতিনিধিরা একাধিকবার প্রস্তাবীত সেতুর এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছরেও সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। জাতীয় সংসদে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ নিয়ে কয়েকবার সেতু নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরে দুই উপজেলার মানুষের দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানান।