টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বিয়ানীবাজার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিয়ানীবাজার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নে। বন্যায় কবলিত উপজেলার এই পাঁচ ইউনিয়নে চারটি উচ্চ মাধ্যমিকসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপাতত শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রেখে স্থানীয় শিক্ষা অফিস।
স্থানীয় শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলায় চারটি উচ্চ মাধ্যমিকসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত হওয়ায় শিক্ষাদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও, আরও শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেকোনো সময় বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান বলেন, ‘টানা বর্ষন অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবার আশংকা করছি। এক্ষেত্রে শিক্ষাদান ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। তবে এবারের আগাআম বন্যায় উপজেলার পাচটি ইউনিয়ন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। এ অবস্থায় পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে জেলা অফিসের পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সুরমা, কুশিয়ারা ও সুনাই নদীর পানি বেড়ে বারইগ্রাম-বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপরে দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে সড়কে তীব্র যানযট দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এই সড়কে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শুধু তাই, অব্যাহত বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সময় সময় বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। উপজেলার আলীনগর, চারখাই, শেওলা, দুবাগ, কুড়ারবাজারসহ বিভিন্ন স্থানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সুরমা ও কুশিয়ারা এ দুই নদীতে পানি বৃদ্ধি থাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বেশ কয়েকটি নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় দুইশত হেক্টরেরও বেশি ফসলি জমির ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ০ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মসজিদের শহর বিয়ানীবাজার।। পর্ব#৪৪।। কাকরদিয়া উত্তর মাইজভাগ জামে মসজিদ