মেয়র, উপজেলা-ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদবী বদলে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পদবী বাংলায় করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। একইসাথে ইংরেজি নাম আছে এমন পরিষদের নামও বাংলায় রূপান্তর করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আইন-২০২০-এ এসব বিধান করার প্রস্তাব করেছে কমিশন। খসড়া আইনটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা এতোদিন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর একটি অংশ ছিলো। তবে এবার রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০ নামে স্বতন্ত্র আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

প্রস্তাবিত রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন- ২০২০’র খসড়ায় ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লি পরিষদ, পৌরসভাকে নগর সভা ও সিটি কর্পোরেশনকে মহানগর সভা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রধান, ভাইস চেয়ারম্যানকে উপপ্রধান; সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে মহানগর সভা আধিকারিক বা মহানগরপতি এবং পৌরসভার মেয়রকে পুরাধ্যক্ষ বা নগরপতি; সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলরকে সদস্য বা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ড কে মহল্লা এবং ইউনিয়ন পারিষদের ক্ষেত্রে এলাকা শব্দের দ্বারা প্রতিস্থাপন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরপিও অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে নারী সদস্য ৩৩ শতাংশ থাকার কথা ছিলো। প্রস্তাবিত আইনে কোন সময়কাল উল্লেখ না করে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ ভাগ পদ নারীদের জন্য সংরক্ষণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd তে আইনের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে। ৭ জুলাই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবের ইমেইল [email protected] ঠিকানায় পাঠানো যাবে।

বিয়ানীবাজারে ইউএনও অফিসের কর্মচারী সহ নতুন ৫জন করোনায় আক্রান্ত