বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪। ০৩ মার্চ ২০১৭।

বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা আজ বিকালে শুক্রবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাসিব মনিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

বর্ধিত সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হলেও সম্প্রতি ফেসবুকসহ অনলাইন মিডিয়ায় ‘রনাঙ্গন-৭১’ গ্রন্থের বরাত দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাসিব মনিয়াকে আলবদর আখ্যায়িত এবং উপজেলার কয়েকজন নিরিহ মানুষের নাম উল্রেখ করে রাজাকার আলবদর অভিদায়ে আখ্যায়িত করায় নিন্দা জানানো হয়।

বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আহাদ কলা, মহিলা লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুমসা চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক সামছুদ্দিন মাখন, শিক্ষক মতিউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছালেহ আহমদ বাবুল, সদস্য আব্দুল খালিক, সহ দপ্তর সম্পাদক মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, জাতীয় শ্রমিক লীগ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহজাহানুল ইসলাম লায়েক প্রমুখ।

[image link=”http://138.197.71.33/wp-content/uploads/2017/03/beanibazar-03.png” img=”http://138.197.71.33/wp-content/uploads/2017/03/beanibazar-03.png” caption=” বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তি “]

বর্ধিত সভা শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান সভায় গৃহিত নিন্দা প্রস্তাবটি বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪-এ প্রেরণ করেন। নিম্নে উপজেলা আওয়ামী লীগের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি হুবহুব তুলে ধরা হলো-
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান এক বিবৃতিতে বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আব্দুল হাসিব মনিয়ার নামে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে রনাঙ্গঁণ-৭১ নামক একটি সম্পাদনার বরাত দিয়ে তাঁহার নামসহ এই উপজেলার কতিপয় নিরাপরাধ ব্যক্তির নামে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাজাকার, আলবদর সহ বিভিন্ন অভিধায়ে আখ্যায়িত করায় অদ্য ৩ মার্চ ২০১৭ ইং বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় সর্বসম্মতভাবে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। উক্ত সভায় এরকম মনগড়া ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এবং অভিলম্বে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে উক্ত সম্পাদনায় প্রকাশিত তালিকা থেকে অভিলম্বে তাঁহার নামসহ নিরাপরাধ অন্যান্য ব্যক্তিদের নাম প্রত্যাহারের জন্য আহবান জানিয়েছেন কেননা জনাব মনিয়া স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে যথাক্রমে বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, কোষাধ্যক্ষ, সহ-সভাপতি, সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই দীর্ঘ সময়ের পথ পরিক্রমায় কেউ কোনদিন তাঁহার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের কোন অভিযোগ উত্থাপন করেননি। হঠাৎ করে এই ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এই ধরনের মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।