মুশফিকের দুর্দান্ত ইনিংসে লড়াই করার মতো স্কোর (২৩৯) পেয়ে আহত বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে মিরাজ, ফিজ, রিয়াদরা। ফিল্ডিংয়ে ম্যাশ, সৌম্যদের দেশপ্রেম তাতিয়ে তুলে রুবেল শান্তদের। ফলাফল বাংলাদেশ আবারো এশিয়া কাপের ফাইনালে। 

২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ২ রানের হারার যন্ত্রণা এখনো সাকিবদের পোড়ায়। আজকের অলিখিত ফাইনালে বাংলাদেশ মাঠে লড়াই করলে সাকিব তখন দেশে ফিরছেন। হয়তো সতির্থদের প্রতিশোধ সুযোগ হাতছাড়া না করার মন্ত্র দিয়েছিলেন বলেই কি না…

ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাশ। জুনেদ- শাহিনের তুপে ১২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ক্রিজে থাকা মিতুনের সাথে জুটি বাঁধেন মুশি। রেকর্ড জুটি গড়ে (১৪৪) মিতুন ৬০ রানের বিদায় নেন। দলীয় সংগ্রহ তখন ১৫৬। মুশফিকের সাথে ইমরুলে জুটি জমে উঠার আগেই ছন্দপতন- ইমরুল আউট। দলীয় ১৯৭ রানে মুশফিক আউট হলে বড় স্কোর আসে মাহমুদুল্লাহ- মাশরাফির কার্যকর দুই ছোট্ট ইনিংসে। মুশফিক ৯৯, রিয়াদ ২৫ ও ম্যাশের ১৩ রানে অল আউট হওয়ার আগে দলীয় সংগ্রহ ২৩৯ রান।

২৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মিরাজ-ফিজের আগুন ঝরা বোলিংয়ে মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ইমাম-মালিকের চতুর্থ উইকেট জমে (৬৭) উঠতেই রুবেলের বলে মাশরাফির অসাধারণ ক্যাচে মালিক সাজ ঘরে ফিরলে ম্যাচে ফিরে টাইগাররা। আসিফের সাথে ইমামের জুটিতে পাকিস্তান ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। এ দুইজন ৮৬ রানের জুটি গড়েন। চমৎকার খেলতে থাকা আসিফ মিরাজের বলে স্টাম্পিং হলে আবার ম্যাচে ফেরে ম্যাশ বাহিনী। কিন্তু ৮৪ রানে অপরাজিত থাকা ইমামুল দারুন খেলতে থাকায় ভাজ পড়ে ম্যাশের কপালে। বোলিং পরিবর্তন এনে ইমামকে সাজ ঘরে ফেরৎ পাঠান কাপ্তান ম্যাশ। ইমামকে স্টাম্পিং করে ম্যাশের চিন্তা দূর করে রিয়াদ। দশম উইকেট জুটিতে জুনেদ, হাসানরা পরাজয়ের ব্যবধান শুধু কমিয়েছে। ৩৭ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা মুশি।