ছাতকে প্রেমিকাকে ১৪ দিন বাসায় রেখে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবক আবদুল আলীম নিজেকে স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের আত্মীয় বলে পরিচয় দিচ্ছেন। সালিশে অংশ নেয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিলাল হোসেনও আলীমের মামা। এসব পরিচয় কাজে লাগিয়ে আলীম ও তার প্রভাবশালী পরিবার ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। তরুণীর পরিবারকে মামলা থেকে বিরত রাখতে নানামুখী চাপ ও মোটা অঙ্কের টাকা দেয়ার প্রস্তাব করছে। এসব অপতৎপরতায় ভুক্তভোগী পরিবারটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মামলা করতে পারেনি। তবে ধর্ষণের শিকার তরুণী তার সম্ভ্রমহানির বিচার দাবিতে অনঢ়।

‘বিয়ের প্রলোভনে বিয়ানীবাজারের প্রেমিকাকে ১৪ দিন বাসায় রেখে ছাতকের প্রেমিকের ধর্ষণ’ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে ছাতক ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। দুই থানার পুলিশ ও প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।

ধর্ষিত মেয়েটি বলে, ক্ষমতাসীন দলের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ভাগনা পরিচয় দিয়ে আলীম আমার পরিবারকে চাপে রেখেছে। আবদুল আলীমের মা রীনা বেগম বলেন, এমপি মানিক আমার চাচাতো ভাই। আমরা কোথাও তার নাম ভাঙিয়ে কিছুই বলিনি। এ বিষয়ে ছাতকের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে কিছুক্ষণ পর ফোন করতে বলেন। কিন্তু পরে বারবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। প্রসঙ্গত আবদুল আলীমের বাড়ি সৈদের গাঁও ইউনিয়নের ধারণ গ্রামে।

গত ৭ মে বিয়ানীবাজার থেকে মেয়েটিকে উঠিয়ে নেয় আলীম। বিয়ে করার কথা বলে নিজ বাড়ি ছাতকে নিয়ে যায়। সেখানে ১৪দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে পরিবারকে প্রশাসনের মাধ্যমে চাপে ফেলে তথাকথিত সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ২১ মে ফেরত দেয়। তার মামা চেয়ারম্যান বিলাল মেয়েটির অভিভাবকের হাতে ৭০ হাজার টাকা ধরিয়ে দেন।