মাস্টারপিছ বাংলাদেশ ও ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ছিলটি নাগরি লিপি, মণিপুরী ও খাসি ভাষার সচেতনতা বিষয়ে ৫ মাস মেয়াদি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ১২০ জন শিক্ষার্থীদেরকে সিলেটি ভাষার বর্ণমালা নাগরি লিপি, দুটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা খাসি ও মনিপুরী ভাষার চর্চা ও অধ্যয়ন শেষে তাদের মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে এই মূল্যায়ন করা হচ্ছে। অদ্য ২০ অক্টোবর বুধবার বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গৌরীনাথ সপ্রাবি তে নাগরি বর্ণমালার লিখিত ও মৌখিক পুথি মূল্যায়নের আয়োজন করা হয়।

মূল্যায়ন পর্ব শেষে সকল শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তোলে দেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর।

মূলত সিলেটের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সিলেটি ভাষার বর্ণমালা নাগরি লিপি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও এর চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য মাস্টারপিছ বাংলাদেশ এই উদ্যোগ নেয় এবং ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) তাদের সাথে একাত্বতা পোষণ করে এই বিলুপ্ত ভাষাকে জাগ্রত করতে একসাথে কাজ করার জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করে।পর্যায়ক্রমে এই কর্মসূচির মূল্যায়ন করা হবে এবং পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে।

মাস্টারপিছ বাংলাদেশের সমন্বয়ক ইসতিয়াক আহমদ রানা’র তত্ত্বাবধানে ও সহযোগী সমন্বয়ক জামিল হোসেন’র পরিচালনায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাস্টারপিছ বাংলাদেশের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য হাসান শাহরিয়ার, পাতন-২ সপ্রাবি’র প্রধান শিক্ষক লুৎফুল হক চৌধুরী, কসবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহঃ শিক্ষক মোহাম্মদ শাহিদুর রহমান,সহঃ শিক্ষক লাইলী বেগম,কসবা সপ্রাবি’র সহঃ শিক্ষক লিপিয়া ইয়াছমিন, দুবাগ সপ্রাবি সহঃ শিক্ষক পান্না বেগম,কটুখালিরপাড় সপ্রাবি’র সহঃ শিক্ষক রোজি বেগম, শাহজালাল সপ্রাবি’র সহঃ শিক্ষক মোঃ আলী হোসেন। মাস্টারপিছ বাংলাদেশের সিনিয়র সদস্য আব্দুল আমিন, ইমাম হাসনাত সাজু,নুরুল ইসলাম সুমন, এহসান করিম খোকন, সাহেদ আহমদ, বদরুল ইসলাম। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।