অবশেষে সিলেট বিভাগের চার হাসপাতালের প্রায় ৬শ’ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রনোদনা পেতে যাচ্ছেন। সিলেট বিভাগের চারটি ছাড়াও প্রনোদনের তালিকায় রয়েছেন সারাদেশের আরও ১০টি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। তাদেরকে দুই মাসের বিশেষ প্রনোদনা বরাদ্দ দিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বাজেট শাখা।

সূত্র জানায়, প্রনোদনার তালিকায় রয়েছেন দেশের ১ হাজার ৪৭৪ জন চিকিৎসক, ৪০৬ জন নার্স ও ৯৮১ জন স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯০২ টাকা।

প্রনোদনা প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৯ জন চিকিৎসক ও ১৩৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী, শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালের ৬৬ জন চিকিৎসক ও ১৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী, সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের ২৩ চিকিৎসক, ৩২ জন নার্স ও ৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ৫৪ চিকিৎসক ও ২৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী।

প্রসঙ্গত, শনিবার পর্যন্ত করোনায় দেশে চিকিৎসক মারা গেছেন ১৩৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯১০ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী এ প্রণোদনা পাবেন। তবে আউটসোর্সিং বা অন্য কোনোভাবে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এ প্রণোদনা দেওয়া হবে না।

এ ছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, টেলিফোন অপারেটর, অফিস সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, হিসাবরক্ষক, গাড়িচালক, ইলেকট্রিশিয়ান, মুয়াজ্জিন, মেকানিক, স্টেনোটাইপিস্ট, স্টোরকিপার, মালি, অফিস সহায়কেরা এই প্রণোদনা পাবেন না।

২০২০ সালের ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেছিলেন, ওই বছরের মার্চ থেকে যারা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করছেন, সরকার তাদের উৎসাহ দিতে বিশেষ প্রণোদনা দেবে। সেই বরাদ্দ দেওয়া হলো ৭ এপ্রিল।

কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের সেবায় সরাসরি কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে ২৩ এপ্রিল একটি পরিপত্র জারি করে অর্থ বিভাগ। সেটি অনুসরণ করেই প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: প্রথম আলো।