মুসলিম বিশ্বসহ সারা জাহানের মানবতার কল্যাণ কামনায় বিশেষ করে করোনার ভয়ঙ্কর ছোবল থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় মোনাজাতের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার নর্থইষ্ট ফিলেডেলপিয়া ইসলামিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন সেখানকার কমিউনিটির মুসল্লিরা।

এদিন করোনার কারণে গত ঈদুল ফিতরের ন্যায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে মুসল্লিরা ভিন্ন এক আমেজে নামাজ আদায় করলেন। চমৎকার আবহাওয়া থাকায় নর্থইষ্ট ফিলেডেলপিয়া ইসলামিক সেন্টারের সামনের খোলা ময়দানে ঈদ জামাতে মানুষের ঢল নেমেছিল। চিরায়ত নিয়মে ঈদের নামাজ আদায়ের পর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করতে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় মুসল্লিরা মৌখিকভাবে পরস্পরের সাথে কোশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শুধু এবারই নয়, নর্থইষ্ট ফিলেডেলপিয়া ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত কয়েক বছর ধরে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জামাতসহ সাপ্তাহিক জুম্মা ও প্রাত্যহিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতের আয়োজন করে আসছে। স্থানীয় কমিউনিটির মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা সেখানে নামাজ আদায় করেন। তবে বর্তমান সময়ে এই ইসলামিক সেন্টারটি সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আর সেকারণে সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দ এর সম্প্রসারণ ও কার্যক্রম বৃদ্ধিতে কমিউনিটির বিত্তবানদের সহযোগিতা আহবান করেছেন।

 

নর্থইষ্ট ফিলেডেলপিয়া ইসলামিক সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি পেনসিলভেনিয়া ইনক’র সভাপতি ও এবি মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক মাশুকুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মঞ্জুরুল আবেদীন দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ইমামতির দায়িত্বে রয়েছেন মাওলানা আবু জাফর নামে একজন আলেম। তারা বলছেন, নর্থইষ্ট ফিলেডেলপিয়া ইসলামিক সেন্টার সম্প্রসারিত হলে এই সেন্টারকে ঘিরে ওই কমিউনিটিতে সামাজিক সংহতি ও ইসলামি চর্চার সুযোগসহ ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রেও প্রসার ঘটবে।

নর্থইষ্ট ফিলেডেলপিয়া ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি মাশুকুল ইসলাম খান বলেন, নর্থইষ্ট ফিলেডেলপিয়া ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসল্লি ঈদ ও জুম্মার নামাজসহ প্রাত্যহিক নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা করে আসছে। তবে বর্তমান স্থানীয় কমিউনিটিতে মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এর সম্প্রসারণ অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সেন্টারের পাশের একটি প্লট সংগ্রহ করেছি। যদি প্রবাসের কমিউনিটির বিত্তবানরা সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেন তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেন্টার সম্প্রসারণ ও এর কার্যক্রম বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মাশুকুল ইসলাম খান আরও বলেন, নর্থইষ্ট ফিলেডেলপিয়া ইসলামিক সেন্টারের বিকাশ ঘটলে ওই এলাকায় বাংলাদেশি মুসলিমদের একটি বৃহৎ কমিউনিটি গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ইসলামি শিক্ষার বুনিয়াদ ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে কমিউনিটির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। একইসাথে সেন্টারকে ঘিরে ওই কমিউনিটিতে ব্যবসা বানিজ্যেরও প্রসার ঘটবে।

ঈদের দিনে বিয়ানীবাজারে আল খায়ের ফাউন্ডেশন ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশের মাংস বিতরণ