বিয়ানীবাজার পৌরসভার পুনঃনির্বাচনে আট মেয়র প্রার্থীর পাঁচজনই মাঠে নেই। ৩নং ওয়ার্ডে তাদের প্রচারণা কিংবা গণসংযোগ চোখে পড়েনি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় তিন মেয়রপ্রার্থী ও কর্মী সমর্থকরা প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন।

গত ২৫ এপ্রিল পৌরসভা নির্বাচনে ঘোষিত ৮ ওয়ার্ডের ৯ কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে থাকা বিএনপি মেয়র প্রার্থী আবু নাসের, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের আব্দুস শুকুর ও স্বতন্ত্র মেয়ল প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটের হিসাবে বাতিল হওয়া ৩নং ওয়ার্ড ব্যতিত ৯ কেন্দ্রের ফলাফলে ১৫৪ ভোটে বিএনপি প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও আওয়ামী লীগের দূর্গ বলে খ্যাত কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৌকার প্রভাব সব সময় থাকায় এ কেন্দ্রে আব্দুস শুকুর বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বলে তার সমর্থকদের ধারণা। পরিবেশ পরিস্থিতি আব্দুস শুকুরের পক্ষে থাকায় ভোটের বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম পল্লব, জমির হোসাইন, বদরুল হক, জাসদের শমসের আলম ও আমান উদ্দিনের প্রচারণা ও গণসংযোগ দেখা যায়নি। যদি পুনঃনির্বাচন থেকে এ পাঁচ মেয়র প্রার্থী সরে যাওয়ার ঘোষণা দেননি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমান উদ্দিন আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে অনেক আগেই সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান।

সরেজমিনে আজ শুক্রবার ৩নং ওয়ার্ডে গিয়ে তিন মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। এ তিন মেয়র প্রার্থীর সাথে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রচারণা চালাচ্ছেন।

নির্বাচনে জয়লাভের আশাবাদ ব্যক্ত করে আবু নাসের পিন্টু বলেন, ভোটারদের কাছে থেকে স্বতঃস্ফুর্ত আহবান পাচ্ছি। সকলের সহযোগিতায় আশা করি আমি বিজয়ী হবো। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস শুকুর বলেন, উন্নয়নের প্রতীক নৌকার দূর্গ এ ওয়ার্ডের মানুষ শেষ পর্যন্ত আমার উপরই আস্থা রাখবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস। ওয়ার্ডের নারী-পুরুষ সকলেই আমাকে সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি পুনঃনির্বাচন শেষে এ ওয়ার্ডের ভোটাররা প্রথম পৌর পিতা নির্ধারণ করবেন। আশা করি এখানে অতিতের মতো এবারও বিশাল ব্যবধানে নৌকার বিজয় হবে।