বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাসিব মনিয়ার সভাপতিত্বে এবং পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবাদ আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম সুন্দর, আতাউর রহমান খান, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ময়নুল ইসলাম, সহসভাপতি আব্দুল আহাদ কলা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল হকসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।

মেয়রপ্রার্থী আব্দুস শুকুর বলেন, ১৬ বছর পর বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পৌরবাসীর কাছে আমার অনুরোধ আপনার এমন একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করুন যিনি আপনাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দীর্ঘদিন নির্বাচন আটকে রেখে ক্ষমতা থাকার চেষ্টা করবেন না। আমি আপনার সন্তান, ভাই- যদি মনে করেন আমি আপনাদের সেবা করার যোগ্য, আপনার জন্য একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ও আধনিক পৌরসভা উপহার দিতে পারবো। একটি জলাবদ্ধতা মুক্ত পৌরসভা উপহার দিতে পারবো তাহলে আপনার আমাকে নির্বাচিত করুন। আমি ওয়াদা করছি আপনাদের ভোটের আমানত খেয়ানত করবো না। সৎভাবে এবং পরিচ্ছন্নভাবে পৌরসভা পরিচালিত করবো।

প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, বিয়ানীবাজারের ঐতিহ্য  ও সুনাম সারা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। কিন্তু আমি বিয়ানীবাজারে এসে যে অবস্থা দেখলাম তাতে আশাহত হয়েছি। ধারণা করতে পারছি না বিয়ানীবাজার ১৬ বছর আগে পৌরসভায় উন্নীত হয়েছে। বিয়ানীবাজারকে দেখলে দেশের একটি সাধারণ মফস্বল শহর মনে হয়। কোনভাবে বিয়ানীবাজারকে পৌরশহর বলা যায় না। বিয়ানীবাজার দীর্ঘ ১৬ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। তিনি বলেন, আমি কথা দিচ্ছি বঙ্গবন্ধুর নৌকায়, শেখ হাসিনার নৌকায় আপনার ভোট দিলে আগামী দেড় বছরের মধ্যে একটি ঝলমল পরিচ্ছন্ন পৌরসভা আপনাদের উপহার দেব। এদেশের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা উন্নয়নে বিশ্বাস করেন। আপনারা নৌকায় ভোট দিলে একটি আধুনিক পৌরসভা উপহার পাবেন।