নাজিম উদ্দিন ও রুহেল আহমেদ রেকেল পরষ্পরের বন্ধু। এলাকায় নারী নিয়ে ব্যবসা করতেন তারা। এ নিয়ে বিরোধের জেরেই নাজিমকে হত্যা করেন রুহেল।

সিলেটের কানাইঘাটে নাজিম উদ্দিন হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রুহেল আহমেদ রেকেলকে আটকের পর হত্যা রহস্য বেরিয়ে আসে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ১৩ জুলাই কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত খালাইউরা নামক স্থানে সুরমা নদীর পাড়ে একটি অজ্ঞাতনামা মৃত দেহ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে জানা যায় মৃতদেহটি নিজ রাজাগঞ্জ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র নাজিম উদ্দিনের।

এই হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাহরিয়ার বিন সালেহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি এন্ড মিডিয়া) মো: লুৎফর রহমান ও কানাইঘাট সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার মো: আব্দুল করিম।

কমিটির সদস্যরা কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ শর্মাকে ঘটনার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত উদ্ধারের জন্য প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

পুলিশ জানায়, সিলেট জেলা পুলিশের তথ্য প্রযুক্তি ইউনিট ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক বিশ্লেষন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার মহরম আলীর পুত্র রুহেল আহমমেদ রেকেলকে সোমবার আটক করা হলে সে পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরন প্রদান করে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট জেলার মিডিয়া মুখপাত্র মো: লুৎফর রহমান বলেন, ভিকটিম নাজিম ও রুহেল এর মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। মাঝে মধ্যে তারা বাইরে থেকে নারী এনে অসামাজিক কাজ করতো। ঈদ পরবর্তী সময়ে ভিকটিম নাজিম আসামি রুহেলকে পতিতা আনার জন্য বললে সে তা আনতে পারেনি। এক পর্যায়ে ভিকটিম নাজিম মেয়ে সংগ্রহ করতে না পারলে তার বন্ধু রুহেলের স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য বলে। এ কথা বলার পর রুহেল এশার নামাজের ঠিক পরপর নদীর পাড়ে এসে দু জনে সিগারেট খাবার এক পর্যায়ে নাজিম রুহেলকে তার স্ত্রীকে আনার কথা জিজ্ঞাসা করলে পূর্ব হতে লুকিয়ে রাখা মুগর দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। এতে নাজিমের মৃত্যু হয়। পরে নাজিমের সাথে থাকা নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায় রুহেল।