প্রায় দেড় দশক আগে বিভাগীয় স্টেডিয়াম দিয়ে শুরু, এরপর ২০১৪ সালের এপ্রিলে ক্রিকেট বিশ্বে পথচলা শুরু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামে। নগরের উপকণ্ঠে লাক্কাতুরা চা বাগানের বুক চিরে গড়ে উঠা বাইশ গজ এবার নতুন নাম পেতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে এরই মধ্যে আবেদনও করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির পাশেই হয়েছে আরেকটি স্টেডিয়াম। যার কারণেই বোর্ড সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে।

আইসিসির অনুমোদন পেলে বর্তমানে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নাম বদলে হবে ‘সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম।’ লাক্কাতুরা চা বাগানের এক খন্ড ভূমিতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিদিন খেলাধুলা করতেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান সেই খেলার মাঠটিকে বিভাগীয় স্টেডিয়ামে পরিণত করেন। ২০১৪১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিলো বাংলাদেশ। তখন আন্তর্জাতিক ভেন্যুর সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষ্যে বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে তা হয়ে উঠে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রচেষ্টায় বিভাগীয় স্টেডিয়ামটি রূপ পায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ২০১৪ সালে ছেলেদের টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নাম লেখায় সিলেট। সেবার মহিলা বিশ্বকাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ হয়েছিলো সিলেটের নয়নাভিরাম এই ভেন্যুতে। ওই বছরের ১৭ এপ্রিল টেস্ট খেলুড়ে দেশ জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে প্রবেশ করে সিলেট। এরপর সিলেটের এই মাঠটি ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাট টেস্ট ও ওয়ানডে ভেন্যুরও মর্যাদা লাভ করে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।