করোনায় আক্রান্ত একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মারা গেছেন। এদিকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ও তাকে সমাহিত করা হবে বনানী গোরস্থানে।

তাঁর মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক কমাণ্ড। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মুঠোফোরে প্রেরিত শোক বার্তায় বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, নাট্যজন আলী যাকেরের মৃত্যুতে নাট্যাঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরীতে হয়েছে তা কোনভাবে পুরণ হবে না। একজন আলী যাকের প্রতিটি মাধ্যমে নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরেছেন। টিভি, মঞ্চ, নির্দেশনা, লেখালেখি সব কিছুতে নিজেকে নতুন ধরেছেন সহজাত এ অভিনেতা-নির্দেশক। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

এদিকে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আলী যাকেরের মরদেহ আগারগাঁও-এ অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দাফনের তথ্য জানিয়েছেন মৃতের ছেলে অভিনেতা ইরেশ যাকের। তিনি বলেন, “বাবার নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর বনানী গোরস্থান মসজিদে পড়া হবে।”

চার বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন আলী যাকের। চিকিৎসা হিসেবে নিয়মিত থেরাপি চলছিল তার। ছিল হার্টের সমস্যাও। গত সপ্তাহে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপরই তাকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে নেওয়া হয় সিসিইউতে। কিছুটা সুস্থ হলে গত শনিবার বাসায় নেওয়ার পর রোববার আবারও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার করোনা পরীক্ষা করানোর পর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

আলী যাকের দেশের একজন গুণী ও বর্ষীয়ান অভিনেতা। ছোট পর্দায় অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চেও দাপুটে বিচরণ ছিল তার। মঞ্চে নুরুলদীন, গ্যালিলিও ও দেওয়ান গাজীর চরিত্রে অভিনয় করে জয় করেছেন দর্শক হৃদয়। এছাড়াও ‘অচলায়তন’, ‘বাকী ইতিহাস’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘তৈল সংকট’, ‘এই নিষিদ্ধ পল্লীতে’, ‘কোপেনিকের ক্যাপ্টেন’সহ বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।