টান টান উত্তেজনা ও নাটকীয়তায় ভরা ফাইনালে অবশেষে হাসলো ক্রিকেটের জনকরা। সুপার ওভারের শেষ বলে নিউজিল্যান্ডের গাপটিল রান আউট হওয়ায় সমান স্কোর থাকার পরও ইংল্যান্ড জিতে সুপার ওভারে কোন উইকেট না হারায়।

নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৪২ রানের টার্গেট চেজ করতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ ওভারের শেষ বলে প্রয়োজন ছিল দুই রান। স্টাইকে থাকা স্টোকস লেগ স্টামের উপর বল মিড অনে টেলে দুই রান নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নন স্টাইক প্রান্তে উড পৌছার আগেই বোল্ড স্টাম ভেঙ্গে দেন। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। দুই ফাইনালিস্ট তাদের ইনিংসে ২৪১ রান করে অল আউট হয়ে যায়।

সুপার ওভারে প্রথমে ইংল্যান্ড ব্যাট করে ১৬ রানের টার্গেট দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ২৫৩ রান করে ইংলিশদের আটকে দেয়। ১৯৯২’র আসরে পাকিস্তান পোমসদের আটকে দেয় ২৪৯ রান করে। কিউইরাও এবার তেমনই রান করেছে। লক্ষ্য দিয়েছে ২৪২। এরপর বল হাতে কাঁপন তুলেছে ইংলিশ শিবিরে। জেসন রয় শুরুতে ফিরে যান। উইকেটে ধুঁকতে ধুঁকতে ফেরেন জো রুট। এরপর দলকে ভরসা দেওয়া বেয়ারস্টোর পর ইয়ন মরগানও আউট হয়েছেন। এরপর স্টোকস-বাটলারে স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। তবে বাটলার দারুণ এক ইনিংস খেলে ফিরেছেন। শেষ ওভারে ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।

ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৪১ করে অলআউট হয়েছে। জনি বেয়ারস্টো ৩৬ রানে আউট হয়েছেন। জেসন রয় আাউট হয়ে ফিরে গেছেন ১৭ রান করে। জো রুট করতে পারেন ৩০ বলে ৭ রান। ক্রিজে থাকা অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৯ রান করেছেন। জস বাটলার ৫৯ রানে ফিরেছেন। বেন স্টোকস ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। লকি ফার্গুসন তার আগে ভাঙেন ১১০ রানের জুটি।

লর্ডসে শুরুতে বল করা নিউজিল্যান্ড ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায়। শুরুর ধাক্কা তারা সামাল দেন কেন উইলিয়ামসন এবং হেনরি নিকোলাসের ৭৪ রানের জুটিতে। নিকোলাস খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। উইলিয়ামসন করেন ৩০ রান। এরপর পথ হারায় কিউইরা। টম ল্যাথাম ৪৭ রান করলে পরে মাঝারি রানের ওই পুঁজি পায় কিউইরা।

রস টেইলর আম্পায়ারের ভুল লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তে ১৫ রান করে আউট হন। জিমি নিশাম করেন ১৯ রান। দলের হয়ে ১৬ রান করেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস এবং লিয়াম প্লাঙ্কেট নেন তিনটি করে উইকেট।