তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে জনজীবনে ভোগান্তি চরমে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির জন্য অপেক্ষা। তারপরও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত গাড়িটির দেখা। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় প্রহর গুণতে হচ্ছে শত শত যাত্রীসাধারণকে। দূরের যাত্রীরা পড়েছেন খুব বেশি বিপাকে। সেই সুযোগে ফায়দা হাসিল করছেন মোটরসাইকল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। ১০ টাকা ও ৫ টাকা যেখানে ভাড়া, সেখানে অসহায় যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন তারা।

এদিকে হেলমেট পরিহিত এক মোটরসাইকেলচালককে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর সদরের চৌমুহনীতে যাত্রী বহনের কারণে মারধর করা হয়েছে। মারধরের পরপর কয়েকজন শ্রমিক এসে বিষয়টি সমাধানের জন্য বসেছেন।

সরেজমিনে বুধবার সন্ধ্যায় পৌর সদরের চৌমুহনীসহ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখা যায়, শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন গাড়ির জন্য। দূরের গন্তব্যের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ধর্মঘটে আমাদের অবস্থা একেবারেই নাকাল। আমাদের মতো সাধারণ শ্রমিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এভাবে ধর্মঘটে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।

চারখাই এলাকার যাত্রী রাজু আহমদ বলেন, প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। গাড়ি মিলছে না। আর মোটরসাইকেল খুব বেশি ভাড়া দাবি করছে। নাহিদ আহমদ বলেন, হঠাৎ করে দেখি একজন মোটরসাইকেলচালককে একজন শ্রমিক এসে কিল-ঘুষি মারছেন। তারপর কয়েকজন শ্রমিক এসে সেটি মীমাংসার চেষ্টা করছেন।

আব্দুল্লাহ নামের একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। জেলা থেকে যে নির্দেশ আসবে আমরা তা পালন করব।

এবি টিভিতে সংবাদ প্রচার : নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে বিয়ানীবাজারের সেই কালভার্ট