বাংলাদেশে এক দিনে ৩ হাজার ২৮৮ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।

এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯৯৭ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৩৭ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭০ হাজার ৭২১ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আজ শনিবার (০৪ জুন) দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

দেশের ৭১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবের মধ্যে ৬৪টির পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৮৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৪ হাজার ৭২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ২৯ জনের মধ্যে ২১ পুরুষ এবং ৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের একজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের বয়সসীমার দুজন রয়েছেন।

মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই বাসিন্দা রয়েছেন ৯ জন, রাজশাহীতে ৭ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন, খুলনা ও সিলেটে ৩ জন করে, বরিশাল বিভাগে দুজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৫ জন, বাড়িতে থেকে একজন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন ৩ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

প্রায় এক মাস পর মৃতের সংখ্যা ২০ এপ্রিল ১০০ ছাড়িয়েছিল। মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। গত ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল ২২ জুন।