বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) । ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার এ নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন সাকিব। একই সাথে নিচের দায় স্বীকার করেছেন তিনি।

দুই বছরের নিষেধজ্ঞার মাঝে থাকছে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার তিনটি আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে আইসিসি এ শাস্তি দিয়েছে। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে তথ্য গোপন করায় এ শাস্তি পেয়েছেন সাকিব। ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধ করলে স্থগিত এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে এক বছর পর ফের মাঠে দেখা যাবে বিশ্ব সেরা এ অলরাউন্ডারকে। তার আগেও দেখা যেতে পারে যদি সাকিব শাস্তি কমানোর আবেদনে আইসিসি নমনীয়তায় দেখায়।

এ ব্যাপারে আইসিসি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে সাকিবের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি দমন আইনের ২.৪.৪ ধারার অধীনে তিনটি অভিযোগ তোলা হয়েছে।

বিবৃতিতে আইসিসি-

২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১৮ সালে আইপিএলের সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) কাছে জানাননি সাকিব। একই বছরের ত্রিদেশীয় সিরিজেই তাঁর সঙ্গে জুয়াড়িরা দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করলেও সেটি দ্বিতীয়বার এসিইউর কাছে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাননি সাকিব।