সিলেট সিটি কর্পোরেশনে মেয়র নির্বাচিত হতে ভোটারদের উদ্দেশ্যে মেয়র প্রার্থীরা প্রকাশ করছেন তাদের নির্বাচনী ইশতেহার। একই সাথে দেখাচ্ছেন স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখানোর ক্ষেত্রে আরিফ-কামরান দুইজনই সমানে সমান।

প্রধান এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ইতোমধ্যে তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

দু’জনের ইশতেহারেই চটকদার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন ভোটারদের। যার অনেকটাই একজন মেয়রের পক্ষে বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে মনে করছেন নাগরিক শ্রেণির প্রতিনিধিরা।

নির্বাচনী ইশতেহারে কামরান নির্বাচিত হলে নগরীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ফ্লাইওভার নির্মাণ, গ্যাস সংযোগ চালু, আইসিটি পার্ক স্থাপন, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও আধুনিক শিল্পপার্ক স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।

একজন সিটি মেয়রের পক্ষে এগুলো বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে মনে করছেন অনেকে।

বৃহস্পতিবার আরিফুল হক চৌধুরী নিজের ইশতেহারে নির্বাচিত হলে নগরীতে মেট্রোরেল কিংবা টিউব (আন্ডারগ্রাউন্ড রেল)। এই প্রকল্পও সিটি মেয়রের পক্ষে বাস্তবায়ন দুরূহ বলে মত নাগরিক নেতাদের।

দুজনেই তাদের ইশতেহারে সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সুরমা নদী খনন বা ড্রেজিং করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিলেটের নাগরিক সমাজের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ইশতেহারে উল্লেখ করা এ সকল বিষয়ের কোনগুলোই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়ন সম্ভব না।

তারা বলেন, এ সকল বিষয় কেবলমাত্র নাগরিকদের ভোটকে প্রভাবিত করার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নাগরিক সংগঠক সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, দুই মেয়র প্রার্থীই তাদের ইশতেহারে অনেক উচ্চাভিলাসী প্রকল্প যুক্ত করেছেন। যা সিটি করপোরেশনের পক্ষে বাস্তবায়ন অনেকটাই অসম্ভব। মেট্রোরেল, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো প্রকল্প সরকারও বাস্তবায়ন করতে পারছে না। সিটি করপোরেশন কিভাবে বাস্তবায়ন করবে?