সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।  রবিবার সকাল ১১টার দিকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিলেট থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার স্বার্থে আপাতত হাসপাতালের নাম জানাননি তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে তিনি এখনো বিপদমুক্ত নন। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়, ওসমানী হাসপাতালে। ঘটনার পর সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল।

গত শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুরে পয়েন্টে আওয়ামী লীগের অপর একটি  অংশ তাঁর উপর হামলা চালায়। এসময় তার মঞ্চ ভাঙচুর ও মাইক ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এসময় তার ব্যক্তিগত সহকারী হামলার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করতে চাইলে তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

পরে সন্ধ্যায় মীরপুরবাসীকে পথসভা করে ঘটনার বর্ণনা ও বক্তব্য প্রদানকালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কেয়া চৌধুরী। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাকে আইসিউতে নেওয়া হয়।

গত শুক্রবার বিকেলে বাহুবলের মীরপুরে বেদে সম্প্রদায়ের মধ্যে সমাজসেবার চেক ও বয়স্ক ভাতার কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে বেদেবহর পরিদর্শনকালে বাহুবল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়ার গাড়ির চালক এমপিকে উদ্দেশে করে অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও ভিডিও ধারণ করেন। এসময় তিনি তাকে ভিডিও ধারণের কারণ জানতে চান। কোনো সদুত্তর দিতে না পারলে তিনি মোবাইলটি সিজ করেন। এসময় পুলিশও সেখানে উপস্থিত ছিল। মোবাইল সিজ করার জের ধরে জেলা পরিষদের সদস্য আলাউর রহমান ও  তারা মিয়া এসে এমপি কেয়া চৌধুরীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় তিনি পথসভা করে মীরপুরের বাসিন্দারে তিনি বিষয়টি অবগত করেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে নেতাকর্মীরা তাকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে পাঠান।