দর্শকদের স্নায়ু চাপে রেখে জিতলো সিলেট। এক বল হাতে রেখে নুরুল হাসানের বাউন্ডরি থেকে ৪ উইকেটে জয় পেল সিলেট সিক্সার্স। দিনের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে স্লিপ অঞ্চল দিয়ে বল টেলে দিয়েই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন নুরুল। ব্রাভোর করা শেষ ওভারের প্রথম বলে শোভাগত হোমকে বোল্ড করেন।  শেষ পাঁচ বলে সিলেটের প্রয়োজন ১০ রান। দর্শকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা দেখা দেয়। জয় পরাজয়ের দোলাছল থেকে মুক্ত করেন নুরুল হাসান। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাকান মিড অনের উপর দিয়ে বল বাউন্ডির লাইনের বাইরে পাঠান। তার এ ছক্কায় জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪ বলে ৪ রান। ব্রাভোর করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলটি মিড অপে টেলে দিয়ে দুই রান নেয়ার চেষ্টা করে নুরুল। অপর প্রান্তে থাকা প্লানকেট রান না নেয়ায় নরুলকে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়। চতুর্থ বলটি প্লানকেটে পায়ে লাগে। এ সুযোগে দুই ব্যাটসম্যান প্রান্ত বদল করেন। পঞ্চম বলটি সীমানা ছাড়া করে নরুল উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। তার সাথে গ্যালারি মেতে উঠে জয়ের আনন্দে।

অথচ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেয়া ১৪৬ রানের টার্গেটে পেছনে ভালভাবে ছুটছিল সিলেট সিক্সার্স। বিশেষ করে সিলেট সিক্সার্সের দুই ওপেনার থারাঙ্গা ও ফেচার অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে জয়ের বন্দরে দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন মৃসণভাবে। এ দুইজন ঢাকার সাথে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন কুমিল্লার সাথে যেন সেখান থেকেই শুরু করেন। ব্রাভোর বলে রশিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেচার সাজ ঘরে ফেরেন। সিলেট প্রথম উইকেট ৭৩ রানে। এরপর ছন্দপত। একে একে থারাঙ্গা, সাব্বির বিদায় নিলে চাপে পড়ে সিলেট। সেখান থেকে অধিনায়ক নাসির হোসেন (১৮) দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে রশিদের বলে স্টাম্প হয়ে বিদায় নেন। পরের দুই ওভারে পর পর দুই বলে রস হোয়েটলি ও শোভাগত হোম আউট হলে হারের শংকা জাগে সিলেটের দর্শকদের মাঝে। উনিশতম ওভারের শেষ বলে রস হোয়েটলি এবং বিশতম ওভারের প্রথম বলে শোভাগত হোম আউট হন। তাদের আউটে সরব গ্যালারিতে মুহূর্তে বিষাদের ছায়া মেনে আসে। গ্যালরির নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে নুরুল হাসান সোহানের দারুন ছয়ে।

এদিকে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের আটসাঁট বোলিংয়ের কারণে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে মারলন সেমুয়েল্যাস করেন সর্বোচ্চ ৬০ রান। দলের এ সংগহে মূল্যবান রান যোগ করেন অলক কাপালি।