প্রচণ্ড খরতাপে ভোগছেন বিয়ানীবাজার উপজেলাবাসীসহ পুরো সিলেট অঞ্চলের মানুষ।গত দুই দিনের তীব্র তাপদাহে পুড়ছে এ অঞ্চলের অধিবাসীরা। তাপদাহ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ বৃষ্টি কামনা করছেন।

এদিকে প্রকৃতিতে প্রভাব পড়েছে তাপদাহের তীব্রতা। তাপমাত্রার তীব্রতা থেকে বাঁচতে পশুপাখিও শীলত আশ্রয়ে খোঁজে রয়েছে। বিয়ানীবাজার বিজিবি ৫২ সদর দপ্তরে সদ্যজাত দুই ছানাকে তাপদাহ থেকে বাঁচাতে এক মা ফিঙ্গে ডানা মেলে দুই ছানাকে ছায়া দিচ্ছে। বিষয়টি চোখ এড়ায়নি বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আসা অতিথিদের। সদর দপ্তরে সৈনিক লাইন ভবনের পাশের একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের ডালে বুনা বাসায় মা ফিঙ্গে দুই ছানাকে ছায়া দিচ্ছে।

বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। তবে বৃষ্টি শুক্রবারের আগে হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে আজ বুধবার বিকাল থেকে এবং আগামীকাল বৃস্পতিবার আকাশ মেঘলা থাকবে। এ সময় দু-একটি স্থানে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আজ বুধবার সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রী সেলিসিয়াস। আগামীকাল তাপমাত্রা বেড়ে ৩৪ কিংবা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হতে পারে।

ব্যবসায়ী ছফর উদ্দিন বলেন, দোকানে বসে বাইরের দিকে চাওয়া যাচ্ছে। সূর্যের তেজ এসে চোখে লাগে। আর গরমে বিষয়টি কি বলবো। বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছি। তিনি বলেন, এই গরমেও বিদ্যুৎ থাকায় কিছুটা স্বস্থি পাচ্ছি। বিদ্যুৎ না থাকলে খুব কষ্ট হতো।

তাপদাহের সময় বাইরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী। তিনি বলেন, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাইরে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়াই ভাল। তবে বের হতে হলে ছাতা নিয়ে বরে হন এবং চেষ্টা করবেন মুখ ও হাত যেন কাপড়ে ঢেকে থাকে। তিনি বলেন, এ সময় পানিবাহিত রোগের উপদ্রব দেখা দেয়, সেজন্য বাইরের খোলা দোকানের শরবত পান থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি।