বিয়ানীবাজার পিএইচজি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তীব্র তাপদাহের মধ্যে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকলেও গরু কিংবা ছাগল বিক্রি হচ্ছে অন্যদিনের মতো। ঈদের আগে শেষ পশুর হাট হওয়ায় ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে। তাদের এ উদ্বেগ তীব্র তাপদাহের কারণে হাটে শেষ পর্যন্ত ক্রেতার সমাগম ঘটবে কি। রোদের তেজ উপেক্ষা করে ক্রেতা সমাগম ঘটলেই শেস বিকেলে জমে উঠবে এবারের কোরবানি ঈদের শেষ বাজার।

যারা পশু কিনতে পারেননি তারা এক হাট থেকে অন্য হাটে ছুটছেন। আর যারা পশু বিক্রি করতে পারেননি তারাও ছুটে আসছে বিয়ানীবাজারের পিএইচজি ও বারইগ্রাম হাটে। শেষ দিন হওয়ায় যেকোন পশু বিক্রি করার একটি প্রবণতা দেখা গেছে বিক্রেতাদের মধ্যে।তীব্র গরমের মধ্যেও ক্রেতাকে সন্তোষ্ট করতে বেশ কসরত করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের।

তবে বাজারে গরুর দাম চড়া বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। শেষ দিন হওয়ায় বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাবু করতেই বেশি ব্যস্ত- এমন অভিযোগ একাধিক ক্রেতার।

ট্রাভেলস ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, বেশ কয়েকদিন গরুর দরদাম করেছি। কিন্তু বিক্রেতার সাথে আমার দামের বেশ ফারাক থাকায় কিনতে পারছি না। তীব্র গরমের মধ্যে গরুর ক্রয় করা কষ্টকর মনে হচ্ছে। তিনি একটি ষাড় ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাকালে বিক্রেতা এ দামে বিক্রি করেনি।

বিক্রেতা সুমন আহমদ বলেন, বাজারে গরু থাকলেও ক্রেতা তেমন নেই। হয়তো বেশি রোদের কারণে ক্রেতারা বিকালে দিকে বাজারে আসবে। শেষ দিন হয়ে গেলেও সুমনের কাছে আরো দশটি গরু রয়েছে। আজই গরুগুলো বিক্রি করতে হবে থাকে- এ নিয়ে কিছুটা হলে উদ্বিঘ্ন সুমন বলেন, ২০টি গরুর দশটি বিক্রি করেছি। আজ একটি বিক্রি করতে পারিনী। আশা করছি বিকালের মধ্যে গরুর গুলো বিক্রি করতো পারবো।