ডাকাতদের সাথে লড়াই করে স্বামী ও ঘুমন্ত সন্তানদের রক্ষা করলেন মারমিন বেগম। শসস্ত্র ডাকাতদের সাথে নিরস্ত্র শারমিনের এ লড়াইয়ের ঘটনা বুধবার দিবাগত রাত অনুমান ১টার দিকে। ১২/১৫ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল হানা দেয় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পুরানবাজার এলাকার জামাল মিয়ার বাড়ি।

হাফ পেন্ট পরা ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙ্গে শুয়া অবস্থায় রাম দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে জিল্লুর রহমানকে। পাশে শুয়ে থাকা উনার স্ত্রী ঘুমন্ত সন্তানদের বাচাতে লড়াই চালান ডাকাদের সাথে। জাপটে ধরে ডাকাতদের মুখোশ খুলে ফেলেন নখের আচড় আর কামড় দিয়ে ডাকাতদের আটকাবার চেষ্টা চালান। ডাকাতরা কিল ঘুসি আর কাঠের রোল দিয়ে তাকেও বেধড়ক পেটাতে থাকে। নাকে মুখে আঘাত পেয়েও থামেন নি তিনি।

ইতিমধ্যেই লোকজন আসতে শুরু করেছে। ডাকাতরা প্রায় বিবস্ত্রা করে তাকে বাড়ির উঠানে টেনে নিয়ে আসে। তবুও তিনি ছাড়েন নি। অবস্থা বেগতিগ দেখে ডাকাতরা পর পর দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে উঠানে ফেলে যায়। তখন ঘরে রক্তাক্ত মুমুর্ষ স্বামী। এর ভিতরে লোকজন চলে এসে তাকে উদ্ধার করে।

ঘরের নানা জায়গায় রক্ত দেখে লোকজন হতভম্ব হয়ে যান। মাথায় নকে মুখে দায়ের মারাত্মক কোপ নিয়ে জিল্লুর রহমান অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতেল নেওয়া হয়। এদিকে নিজের সন্তানদের জড়িয়ে ধরে নির্বাক হয়ে যান শারমিন বেগম। পরে আস্তে আস্তে তার শরীর ফুলা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে উনাকেও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহতদের ভাই জামাল উদ্দিন জানান, ভাইয়ের অবস্থা খারাপ। দায়ের কোপে মুখের দাত পড়ে গেছে। আর রাতে ডাক্তার দেখার পর ভাবির অবস্থা বলা যাবে। সন্তানদের জীবন নিরাপদ করতে মায়েরা অস্ত্রধারীদের সাথেও প্রাণপণ লড়াই করে এ উদাহরণ আবার স্তাপন শারমিন বেগম।

কিন্তু এ পর্যন্ত সবগুলো ডাকাতি এই নির্দিষ্ট এলাকায় হচ্ছে। ঐ এলাকা ডাকাতদের জন্য সেইফ জোন কেন তা সবাই কে ভাবাচ্ছে।