প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার উপজেলায় অধিকাংশ প্রবাসীরা দেশে বেড়াতে আসেন শীত মৌসুমে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটিকালীন সময় কাটান নিজ বাড়িতেই। এই সুযোগে ডাকাতদের টার্গেট থাকে প্রবাসী পরিবার। ফলে প্রতিবছরই শীত এলেই ডাকাত নিয়ে আতঙ্ক থাকে উপজেলার সব এলাকায়। আর শুধু আতঙ্কই নয়, শীতের সময়ে উপজেলাজুড়ে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পায় চুরি-ডাকাতি।

এবার থানা এলাকায় চুরি ডাকাতি রোধে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে পুলিশ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিয়ে পুলিশের টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে চুরি-ডাকাতি রোধে সাধারণ জনগনকেও সম্পৃক্ত করে তাদের করণীয় বিষয়ে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার চার ইউনিয়নে ডাকাতদের টার্গেটের মধ্যে রয়েছে। এই চার ইউনিয়ন হচ্ছে আলীনগর, চারখাই, মাথিউরা ও মোল্লাপুর। আর এজন্য এসব এলাকায় চুরি-ডাকাতি এড়াতে বিষেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। প্রবাসী অধ্যুষিত এই জনপদে শীত মৌসুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটতে পারে এমন তথ্য নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশ প্রচারণার পাশাপাশি উপজেলাবাসীকে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে। একই সাথে গ্রাম পর্যায়ে পাহারা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি স্ব-স্ব বাসস্থানের প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে থানা পুলিশ।

এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ইতোমধ্যে গ্রামের মুরব্বিয়ান ও যুবকদের এ ব্যাপারে সচেতন করে দিয়েছেন। গত শুক্রবার ঝুঁকিপুর্ণ এলাকার মসজিদে মসজিদে ডাকাতি প্রতিরোধে সকলকে সচেতন, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়াও ডাকাতি প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় রাতভর পাহারা দেয়ার ব্যবস্থাও শুরু হয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় ‘বিয়ানীবাজার নিউজ২৪’কে বলেন, শীত মৌসুমে ডাকাতদের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সকলের অংশ গ্রহণে পুলিশ ও জনগনের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে পাহারার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যান-সদস্যদের অবহিত করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আমাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি যেকোন সন্দেহমূলক খবর দ্রুত থানা পুলিশকে অবগত করার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আমরা নিয়মিত পুলিশি টহল আরও জোরদার করেছি।

মাছ চাষে স্বাবলম্বী বিয়ানীবাজারের আলকাছ আলী