রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বিয়ানীবাজার উপজেলার একাংশ। পল্লীবিদ্যুতের খামখেয়ালীপনা ও উদাসীনতার কারণে টানা ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন রয়েছে উপজেলার বিশাল এলাকা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ বল্ডেজ কমে যায়। এরপর বিদ্যুৎ এক মিনিটের মধ্যে দুইবার ট্রিপ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। প্রচন্ড গরম ও আদ্রতার মধ্যে টানা ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থেকে চরম অবস্থা বিরাজ করছে তিলপাড়া, দক্ষিণ মাথিউরাসহ আশাপাশ এলাকায়।

রবিবার রাত ৯টায় স্থানীয় পল্লী অফিসে যোগাযোগ করা হলে ডিজিএম উপজেলার বিশাল এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকার বিষয়টি অবগত নন জানিয়ে এ প্রতিবেদককে খোজ নিচ্ছেন বলে জানান। রাত ১০টার দিকে আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফেইজ কেটে গেছে জানিয়ে বলে অল্প সময়ের মধ্যে পেয়ে যাবেন। রাত ১১টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু না হওয়ায় তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সুপাতলা সাবস্টেশনের এক ফিডারের সংযোগ লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পেয়ে যাবেন। উদ্বেগের বিষয় হলো সেই কয়েক ঘন্টা টানা ১৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আসেনি।

ভ্যাপসা গরমের মধ্যে টানা ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থেকে তিলপাড়া ও দক্ষিণ মাথিউরাসহ আশপাশ এলাকার মানুষ চরম সংকটে রয়েছেন। বাসাবাড়িতে দেখা দিয়েছে পানির সংকট। এ অবস্থায় আজ সোমবার বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ ডিজিএম অভিলাশ চন্দ্র পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি সভায় আছেন জানিয়ে বলেন, শীঘ্রই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

চারখাই গ্রীড স্টেশন চালুর পর বিয়ানীবাজারে বিদ্যুৎ সমস্যা থাকবে না- পল্লীবিদ্যুতের এমন ঘোষণায় উপজেলাবাসী উচ্চসিত হয়েছিলেন। কিন্তু বিগত সময়ে টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে উপজেলাবাসীর মধ্যে শংকা ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েে।

মাথিউরা মিনারাই এলাকার আমান উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বলে টানা ১৮/১৯ ঘন্টা বিশাল এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকবে? আসলে দায়িত্বশীলদের অবহেলা ও খামখেয়ালীপনার কারণে তিলপাড়া ও মাথিউরা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।