অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যত্র-তত্র ময়লা আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রীর স্তুপ ফেলে রাখার কারণে এক পশলা বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যতম প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা বিয়ানীবাজার পৌরশহরে অধিকাংশ রাস্তাঘাট। এতে করে স্থানীয় অধিবাসী, পথচারী, চাকুরিজীবীদের পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন ও রাস্তাঘাট দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান পৌর এলাকার বাসিন্দারা।

জানা গেছে, টানা ৪-৫ দিনের তাপদাহ শেষে সোমবার রাত থেকেই ঝরছে প্রশান্তির বৃষ্টি। মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি বিরতি থাকলেও বিকাল থেকে ফের শুরু হয় অবিরাম বর্ষন। এর ফলে টানা বৃষ্টিতে বিয়ানীবাজার পৌরসভার বেশিভাগ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরিচ্ছন্ন ও অপরিকল্পিত ড্রেন আবার কোথাও ড্রেন না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে সয়লাভ পুরো এলাকা। দেখে বুঝার উপায় নেই- এটি রাস্তা নাকি খাল।

সরেজমিনে পৌরশহরের প্রধান সড়কের প্রায় অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা পানির নীচে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে পৌরশহরের থানার সামনের সড়ক, কলেজ রোড, খাসা, দাসগ্রাম, খাসাড়িপাড়া, সুপাতলা ও নিদনপুরসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়িঘর ও দোকানপাট। হঠাৎ করে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় অবর্ননীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজন।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভার লোক সংখ্যা অর্ধ লাখেরও বেশি। প্রায় ১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় একটু বৃষ্টি হলেই প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন লোলা খালসহ বিভিন্ন খাল-নালা ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাষণ বন্ধ হয়ে প্রতিবছর মারাত্মক কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া পৌরশহরে অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেও অল্প বৃষ্টিতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। প্রতি বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এ ব্যাপারে নেয়া হচ্ছে না স্থায়ী সমাধানের কোন উদ্যোগ। তাই স্থানীয়দের দাবি, পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্টরা।

টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, বিয়ানীবাজারে ভোগান্তি