কয়েক মাস আগে কটাক্ষ করে বলা ‘চাচা কোটা’র প্লেয়ার তামিম ইকবাল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দারুন সফল! বল হাতে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও ব্যাট হাতে ‍সেমি ফাইনালের টিকেট এনে দিতে অন্যতম ভূমিকা ছিল সাকিব আল হাসানের! অথচ টুর্নামেন্টের আগে কে বা কারা যেন ‘সাকিবকে বাদ দেওয়ার সময় এসেছে’ বলে অাওয়াজ তুলেছিল!

এখন আওয়াজ উঠছে সৌম্য সরকার, সাব্বির আহমদ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রামে পাঠানোর! একজন খেলোয়াড় ব্যর্থ হলে তাকে বাদ বা বিশ্রাম দেওয়া হতেই পারে! কিন্তু যারা এদের অতীত সামর্থ্যকে ভুলে যাচ্ছেতাই সমালোচনা করছেন; তারা আগে তামিম-সাকিবদেরও সমালোচনা করেছেন! সৌম্য, সাব্বির, ফিজ’রা সফল হলে নতুন টার্গেট খোঁজে নেবেন!

ক্রিকেটারদের যারা সমর্থন করেন, সমালোচনা করার অধিকার অবশ্যই তাদের আছে! কিন্তু এই অধিকার ফলানোটা অবশ্যই যুক্তিযুক্ত হওয়া উচিৎ।সব ক্রিকেটারের ‘খারাপ সময়’ আসে; যাকে ‘ব্যাডপ্যাচ’ বলে! এতে ছন্দপতন হলেও সামর্থ্য ফুরিয়ে যায় না! এ সামর্থ্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য খারাপ সময়ে সমর্থনটা আরো বেশি দরকার!

আপনার/আমার খারাপ সময়ে যেমন কেউ সাহস যোগালে শক্তি পাওয়া যায়, ক্রিকেটারদের ক্ষেতেও তাই! কোন ক্রিকেটার যদি নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তাহলেই শেষ! ব্যর্থতার সময়ও নির্বাচকরা বিশ্বাস রেখেছিলেন বলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যাট হাতে দেশকে সম্মানিত করেছেন তামিম! কয়েক ম্যাচে ব্যর্থ সেই সাকিব দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বিশ্বকে দেখিয়েছেন টাইগার বাহিনী কি করতে পারে!

তাই ভরসা রাখুন; আবারো ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষকে তুলোধুনা করবেন সরকার (সৌম্য), সাব্বির! ফিজের (মোস্তাফিজ) ভয়াবহ কাটার সামলাতে গিয়ে ফ্রিজ হবে প্রতিপক্ষের বাঘা ব্যাটসম্যান। নেতিবাচক চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলে ভাবুন, অংশগ্রহণ থেকে গ্রুপ পর্ব টপকে যাওয়া, সেই থেকে কোয়ার্টারের গন্ডি…এখন আমরা সেমিফাইনালে উঠার রাস্তাটাও চিনে নিয়েছি! শিগগির ফাইনালের পথটাও চিনে নেব…তারপর ফাইনাল!

আর সেই ফাইনালে জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন!! চোখ বন্ধ করে দৃশ্যটা কল্পনা করুন তো!! সেদিন খুব দুরে নয়, যদি আমরা সমর্থন দিয়ে যাই টাইগারদের! জয়তু টাইগার।

লেখক- ব্যুরো চিফ, দৈনিক সমকাল, সিলেট।