মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মনা পাশী নামে এক যুবককে হত্যার ৬ ঘন্টার মধ্যে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকারী অনরজিৎ পানিকাকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চুঙ্গাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। অনরজিৎ উপজেলার সাগরনাল চা বাগানের ১নং নতুন টিলা এলাকার শ্রীকুমার পানিকার পুত্র।


বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহ্জাতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগরনাল চা বাগানের বড় লাইন এলাকার বাসিন্দা শংকর পাশীর পুত্র মনা পাশী (২০) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বাগানের ৩নং সেকশনের ভিতরে ৭টি গরু ছেড়ে দেয়। সেকশনের ভিতরে গরু চরানো নিষেধ এবং সেটা প্রতিহতের জন্য নিয়োজিত পাহারাদার (বাগানের ভাষায় বাগাল) মনাকে বাধা দেয় এবং গরু গুলো আটক করে রাখে। মনার অনুরোধে অনরজিৎ দু’টি গরু ছেড়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর মনা আবার গিয়ে গরু ছেড়ে দিতে বলে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বাগাল অনরজিৎ পানিকা হাতের ধারালো দা দিয়ে মনা পাশীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি কোপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মনার মৃত্যু হয়।

জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার সাথে সাথে একদল চৌকস পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি খুনী অনরজিৎকে ধরার জন্য সাড়াশি অভিযান চালাই। ঘটনার ৬ঘন্টার মধ্যেই পাশ্ববর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চুঙ্গাবাড়ি পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হই। সে ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল।

আটককৃত অনরজিৎ পানিকা মনা পাশীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

প্রবাস নয়, বিয়ানীবাজারের তরুণদের অনুপ্রেরণা ডেইরি ও পোল্ট্রি খামার