সিলেটের জাফলং এক অপরূপ পর্যটনকেন্দ্র। যেখানে পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে ভেসে বেড়ায় মেঘ। তিনদিন সেখানে শুটিং করে ঢাকা ফিরেছেন তাহসান, মাজনুন মিজান ও সাবিলা নূর। টিভি নাটকের এই তিন ব্যস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী জাফলং গিয়েছিলেন ‘আকাশের ওপারে আকাশ’ নামের একটি ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ে।

সারা বছর ঢাকা শহরের নির্দিষ্ট কিছু লোকেশনে শুটিং করে খানিকটা একঘেঁয়ে পরিস্থিতি তৈরি হয়। আউটডোরে শুটিং হলে শিল্পীদের উচ্ছ্বাসও তাই বেড়ে যায়। আর জায়গাটা পাহাড় হলে তো কথাই নেই। একটু ঘোরাঘুরি, একটু কাজ—সময়টা কেটে যায় ভালো।

শুটিংয়ের তিনটা দিন দারুণ কেটেছে তাহসানের। জাফলং তাঁর পছন্দের জায়গা। জানালেন, বেড়াতে ও কাজে আগেও অনেকবার গেছেন সেখানে। এবার ভালো একটি কাজ শেষ করে ফিরতে পেরেছেন—এটাই বাড়তি আনন্দের।

‘আকাশের ওপারে আকাশ’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে ভীষণ খুশি মাজনুন মিজানও।

তিনি বলেন, এটির পরিচালক নাহিয়ান আহমেদ। তরুণ নির্মাতা। সুন্দর কাজ করেন। নান্দনিক চিত্রায়ন উঠে আসে তাঁর ফ্রেমে। আমার খুব ভালো লেগেছে ওর সঙ্গে কাজ করে। এতে আমি অভিনয় করেছি তাহসানের বন্ধুর চরিত্রে।

এ ওয়েব ফিল্মে তাহসানের স্ত্রীর চরিত্রে আছেন সাবিলা নূর। গল্পে তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। মাজনুন মিজান জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক কাজে ভীষণ ব্যস্ত তাহসান স্ত্রীকে মোটেই সময় দিতে পারেন না।

স্ত্রী বিবাহবার্ষিকী পালনের আয়োজন করেন, কিন্তু সেখানেও থাকতে পারেন না তাহসান। বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ। কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। স্ত্রীকে খুঁজতে খুঁজতে বন্ধু মিজানকে সঙ্গে নিয়ে জাফলংয়ে পৌঁছে যান তাহসান।

আপাতদৃষ্টিতে গল্পটি সরল মনে হলেও ঘটনায় আছে অনেক উত্থান-পতন, জানালেন নির্মাতা নাহিয়ান আহমেদ। গল্পটি লিখেছেন কাজী আসাদ। এতে আরও অভিনয় করেছেন মুকুল সিরাজ।

বিয়ানীবাজারে এনসিডি মডেল কর্নার স্থাপনের সফলতা, সেবা নিচ্ছেন ৬ সহস্রাধিক কার্ডধারী রোগী