গোলাপগঞ্জ পৌরসভা উপনির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচনী আমেজ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচনে প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকরাও ভোটারদের মন জয় করতে নানা কৌশল গ্রহণ করছেন। আগামী ৩ অক্টোবরের নির্বাচনে চার মেয়র প্রার্থীর পক্ষে অনেককে কাজ করতে দেখা গেছে। এ নির্বাচনে ২১ হাজার ৬৩২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

রিটার্নিং অফিসার খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত কোন ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করলে তা হবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করলে অথবা আচরণনবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে সব মেয়র প্রার্থীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচন অফিসকে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে বাছাই পর্বে চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, জেলা বিএনপির সহসভাপতি (স্বতন্ত্র প্রার্থী) মহিউস্‌সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) আমিনুল ইসলাম রাবেল এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি (স্বতন্ত্র) প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন।

বাছাই পর্বে এক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে রিটার্নিং অফিসার জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী রাজু আহমদ চৌধুরীর হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র না থাকায় এবং দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিব স্বাক্ষরিত দলীয় মনোনয়নের মূল কপি না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে এ প্রার্থীর সুযোগ থাকলেও আপিল করেননি বলে জানা গেছে।

এদিকে মনোনয়ন বাছাইয়ের পর থেকে প্রার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে হাস্যোজ্জ্বলভাবে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।