সিলেট থেকে জকিগঞ্জগামী বাস দুর্ঘটনার পেছনে চালকের অসচেতনতাই দায়ী বলে অভিযোগ ওঠেছে। চালক এক হাতে সিগারেট ফুঁকে আর কানে মোবাইল ফোন রেখে বাসটি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ বাদী হয়ে চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গতকাল শনিবার জকিগঞ্জগামী একটি বাস ধানক্ষেত্রে পড়ে তিন জন নিহত হন। আহত হন আরো অন্তত ২০ যাত্রী।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও দুর্ঘটনাকবলিত একাধিক যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাসটি দুর্ঘটনার পেছনে চালক উস্তাই মিয়ার অবহেলা দায়ী।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রীরা অভিযোগ করেন, চলন্ত বাসে চালক উস্তাই মিয়ার এক হাত দিয়ে ধরা ছিল গাড়ির স্টিয়ারিং, অন্য হাতে ছিল সিগারেট। আর কানে ছিল মোবাইল ফোন। ঠোঁটে সিগারেট নিয়ে দুর্ঘটনার আগে বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক উস্তাই মিয়া।

বাসটি বেলা একটায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসার পর বিকেল ৩টায় জকিগঞ্জ পৌঁছার কথা। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য বিভিন্ন স্থানে বেশি সময় ব্যয় করে ফেলেন চালক। এতে সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে জকিগঞ্জের কাছাকাছি এসে দ্রুতগতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন চালক। এ কারণেই বাবুর বাজার এলাকায় গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধানক্ষেতে উল্টে পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি। এতে মা-মেয়েসহ নিহত হন ৩জন।

জকিগঞ্জ বাস মালিক সমিতির ম্যানেজার সুমন আহমদ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি শনিবার রাতেই ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। বাস মালিক সমিতির শাখা সভাপতি আবুল মুহিতসহ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বাসটির ফিটনেস যাচাই করা হয়েছে। বাসটির সকল কাগজপত্রই ডিজিটাল। তবে যান্ত্রিক কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনো খুঁজে বের করা যায়নি।

জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মো.আব্দুন নাসের জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানা পুলিশের এসআই ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে চালক উস্তাই মিয়াকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ রবিবার ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছেন।

তথ্যসূত্র- সিলেটভিউ২৪।