জকিগঞ্জে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলা দীর্ঘ ৫ মাস পর রেকর্ডের অভিযোগ করেছেন মামলার বাদিনী ভিকটিম। অভিযুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। তবে ওই বিএনপি নেতা ও থানার ওসি দাবি করছেন, ভিকটিম দাবিদার মামলার বাদী মিথ্যুক।

বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা ও অভিযুক্ত প্রভাবশালীর বিষয়ে নানা অভিযোগ করেন ধর্ষণের এজাহারকারী তরুণী।

তিনি দাবি করেন, সম্পদশালী, প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলা কৌশলে বিলম্ব করে ৫ মাস পর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর বাদীকে না জানিয়ে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তি ও অভিযোগকারী তরুণী দুজনেই জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা।

অভিযোগকারী নারী বিষয়টি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত টিম গঠন করে তদন্ত ও ধর্ষণের ধারাসহ ধর্ষকের সহযোগিতাকারী ও ভিডিও চিত্র ধারণের অপরাধের ধারা সংযোজন করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের দাবি জানান। পাশাপাশি ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ায় জকিগঞ্জ থানার ওসি মোশাররফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট অপরাধী ও তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে ওই পিতৃহীন তরুণী উল্লেখ করেন- সংসারের হাল ধরতে কিশোরী বয়সে টেইলারিং শুরু করেন এবং কালিগঞ্জ বাজারের চৌধুরী প্লাজার মালিক বিএনপি নেতা উপজেলার খলাদাপনিয়া গ্রামের মৃত বলই মিয়া চৌধুরীর ছেলে আব্দুল বাছিত চৌধুরী বাচ্চু কর্তৃক তিনি ধর্ষণের শিকার হন। গত বছরের ২ এপ্রিল ওই ঘটনায় তার পরিবারের সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। না পাচ্ছেন ন্যায়বিচার, না পারছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে। অথচ গত বছরের ২ এপ্রিল ধর্ষণের ঘটনার মামলা পুলিশ নানা অজুহাতে বিলম্ব করে গত ৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ প্রচেষ্টার অভিযোগ হিসেবে রেকর্ড করে।

তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত বাচ্চুর নগ্ন মোবাইল আলাপের রেকর্ডসহ নানা প্রমাণ রয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল বাছিত চৌধুরী বাচ্চুর দাবি, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণেই তাকে দোকান থেকে বের করে দিয়েছি। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা করেছে।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যথাযথ তদন্তের মাধ্যমেই সবকিছু হচ্ছে, বাদিনী মিথ্যুক।’