সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে এক চিকিৎসককে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ডা. মাহফুজুল আলমকে তার নিজ বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন লোক তুলে নিয়ে যায়।

মাহফুজুল আলম উপজেলার উত্তর কসকনকপুর (ব্রাক্ষণগ্রাম) গ্রামের বাসিন্দা ও কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের ছেলে ডা. মাহফুজুল আলম (৩০)।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডা. মাহফুজ আলমের মামা জকিগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন সোহেল।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দিনের বেলায় ৩ জন লোক ডিবি পরিচয় দিয়ে কালীগঞ্জ বাজারে মাহফুজের চেম্বারে এসে তার মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায়। দিন পেরিয়ে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আবার একটি গাড়ী নিয়ে বাড়ীতে এসে কথা বলার জন্য মাহফুজকে বের করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

এরপর ডিবি পুলিশের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা ডা. মাহফুজুল আলমকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

তিনি আরো জানান, তার ভাগ্নে ডা. মাহফুজুল আলম বৃহস্পতিবারের প্রকাশিত ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের এমসিকিউ টাইপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

২ ছেলে ২ মেয়ের জনক ডা. মাহফুজ সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টার্নশিপ শেষ করেন। প্রায় ৩ বছর আগে তিনি নিজ উদ্যোগে হেলিকপ্টার বানানোর চেষ্টা করে এলাকায় বেশ আলোচিত হয়েছিলেন। ডা. মাহফুজকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন পরিবারের লোকজন।

ডা. মাহফুজ আলমের ফুফাত ভাই জানান, একটি সোনালী রংয়ের হাইয়েস মাইক্রোবাসে করে ৬-৭ জন লোক ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাকে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের পরনে ডিবি পুলিশের কোন পোশাক ছিল না।

এদিকে শুক্রবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ডা. মাহফুজুল আলমের কোন সন্ধান পায়নি তার পরিবার।

এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘আজকে জকিগঞ্জে ডিবি পুলিশের কোন অভিযান হয়নি। আমার জানামতে ডিবি পুলিশ জকিগঞ্জ থেকে কাউকে আটক করেনি’।

এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, এ খবর পাওয়া মাত্র জকিগঞ্জের সাথে সংযুক্ত সকল সড়কে চেক বসানো হয়েছে। এছাড়া সিলেট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিবিসহ সংশ্লিষ্টদেরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে ডিবি পুলিশ জকিগঞ্জে এ ধরনের অভিযানে আসেনি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।