সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণের পর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী হিসেবে সালমান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর একই ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান জকিগঞ্জ থানার (ওসি) আবুল কাশেম।

গ্রেপ্তার ৬ জনের মধ্যে ধর্ষণের অভিযুগে অভিযুক্ত সালমান আহমদ (১৮) সেনাপতির চক গ্রামের মৃত আকতার আলীর ছেলে। আর বাকি ৫ জন হলেন মৃত ফজই মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ, স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য সামছুল হক ও রারাইগ্রামের মৃত আব্দুল জলিল টরইর ছেলে হাফিজ খালেদ ও একই এলাকার আব্দুস সামাদ, সরল মিয়া ওরফে ফরল।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল সোমবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয় স্থানীয় জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রী। এ সময় পাশের বাড়ির মৃত আকতার আলীর ছেলে সালমান আহমদ (১৮) ও তার সহযোগীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে অচেতন অবস্থায় সালমানের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ঘটনার পর বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ সৃষ্টি করেন ওই গ্রামের ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন প্রভাবশালী। তারা নির্যাতিতার পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বাধা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান। প্রভাবশালীরা একাধিকবার নির্যাতিতার পরিবারকে ডেকে নিয়ে বিচারের নামে উল্টো নির্যাতিতার বোনের স্বামীকে মারধর ও হয়রানি করেন।

নির্যাতিতার মা ও বাবাসহ তাদের বাড়ির নারীরা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনা ঘটার পর সেনাপতিরচক গ্রামের মৃত ফজই মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ, স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য সামছুল হক ও রারাইগ্রামের মৃত আব্দুল জলিল টরইর ছেলে হাফিজ খালেদ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে নিজেরা ‘বিচার’ করে দিতে চান। প্রভাবশালীদের ভয়ে তাৎক্ষণিক মুখ খোলেনি নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু মেয়েটির অধিক রক্তক্ষরণের কারণে পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। এতে ওই প্রভাবশালীরা ক্ষেপে গিয়ে নির্যাতিতার বোনের স্বামীকে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। পরে আবার প্রভাবশালীরা ধর্ষকের পরিবার দিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় ওই কিশোরী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ৬ জনের মধ্যে সালমান হলো ধর্ষণকারী। আর বাকি ৫ জন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করেন।

করোনা সংক্রমনের সাথে বিয়ানীবাজারে ঘরে ঘরে বাড়ছে সিজনাল ফ্লু’র উপদ্রব