পাবিলক পরীক্ষা চলাকালে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ভেতরে ও কলেজ ফটকে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের কর্মীরা বোমাবাজি (পটকা) করেছে। আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনায় কলেজের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

জানাযায়, পরীক্ষার সময় কলেজের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ছাত্রলীগের ১৫/২০জন নেতাকর্মী অবস্থান করছিলো। পরীক্ষা চলাকালে কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন শ্যামল নামের এক কনস্টেবল ছিলেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কলেজ থেকে বের হতে অনীহা জানালে উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম এসে তাদের বের করে দেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কয়েকটি পটকা (৬/৭টি) ফুটিয়ে আতংক ছড়ায়। কলেজ ফটকে তারা হৈচৈ করে। ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী ছুটে এসে তাদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত।

বোমাবাজির শব্দে আতংকিত হয়ে পড়েন কলেজ রোডের ব্যবসায়ীরা। বোমার প্রচন্ড শব্দে ভীতসন্তস্থ হয়ে পথচারীরা দিকবেদিক ছুটতে থাকেন।

খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাহিদুল হক একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি কলেজের উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামের সাথে কথা বলছেন।

আজ শনিবার বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে বিএ (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলছে। তিনটি বিষয়ে (ইসলামের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও রসায়ন) পরীক্ষায় দিচ্ছে ৯শত শিক্ষার্থী। পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে কলেজে ভীতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এ কাণ্ড জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

কলেজ রোডের জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, পটকা (বোমাবাজি) যারা ফুটিয়েছে তাদের উপজেলা ছাত্রলীগ পল্লবগ্রুপের মিছিল-মিটিংয়ে দেখেছি। এ প্রতিবেদককে পটকা ফুটানোর সাথে থাকা ছাত্রলীগের পল্লব গ্রুপের সিনিয়র নেতা দাবি করে বলেন, স্যার বাজেভাবে আমাদের সাথে কথা বলেছেন। এর প্রতিবাদ করতে ছেলেরা পটকা ফুটায়। তিনি নিজের নাম-পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

কলেজের উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম বলেন, কলেজ চত্বরে পরীক্ষা চলাকালে বেশ কয়েকজন ছেলে আড্ডা দিচ্ছিল। তাদেরকে দায়িত্বশীলরা বলার পরও যাচ্ছে না- এমন খবর পেয়ে ঘটানস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের বের করে দেই। আমি ফিরে আসার পর বোমার শব্দ পেয়েছি। বেশ কয়েকবার ফুটানো হয়েছে। কলেজের ভেতর ও বাইরে যারাই এ কাজ করেছে তারা বাজে কাজটি করেছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় পাবলিক পরীক্ষায় কোন প্রভাব পড়েনি।