জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য তৈয়ব মিয়া কামালীর উপর দায়ের করা মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া কামালীর উপর ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসানের অনুসারী সৈয়দ জুম্মান আহমদ বাদী হয়ে হামলার অভিযোগ এনে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াই এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার চুড়ান্ত রিপোর্ট চেয়ারম্যান তৈয়ব কামালি সহ তার আত্বিয় স্বজনের উপর দায়ের করা জুম্মনের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। পাসপোর্ট করার জন্য নাগরিক সনদ পত্র আনতে গিয়ে হেনস্তার শিকার পরবর্তীতে সৈয়দপুর বাজার হতে তার বাড়িতে আসার সময় রড,লাঠি,লোহার পাইপ দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এমন অভিযোগে জুম্মান বাদী হয়ে তৈয়ব কামালি সহ গংদের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন।

এডভোকেট মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকি(উজ্জ্বল) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,রড,লাঠি,লোহার পাইপ দিয়ে হামলার ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।মিথ্যা মামলা দায়ের করে ওই মামলার আসামিদের যে ভোগান্তি দেওয়া হয়েছে তার একটা ন্যায় ও সুবিচার হোক।তিনি বলেন, আদালত রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামি তৈয়ব কামালি সহ অন্যন্য আসামীদের বেকসুর খালাস দেন। একই সঙ্গে ২১১ ধারায় মামলার এজাহারকারী সৈয়দ জুম্মান আহমেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।মঙলবার (১৩ অক্টোবর ) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শুভদীপ পাল এ নির্দেশ প্রদান করেন ।

এ ঘটনার মধ্যদিয়ে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী জুম্মানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া কামালী বলেন মহামান্য আদালতের এ ন্যায় বিচারে সবাই খুশি,কিছুদিন পর পর সৈয়দপুর এলাকায় এই সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন জনের উপর হামলা করে থাকে।এবং স্বনামধন্য এই ইউনিয়নকে অশান্ত করে রাখে এই সন্ত্রাসী বাহিনী।যা এই রায়ের পর তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মিথ্যা মামলা দেয়ার প্রবণতা কমে আসবে। তিনি আরো বলেন আমরা প্রবাসী, প্রবাসে ছেলে মেয়ে রেখে এবং আরামদায়ক জীবনযাপন না করে দেশের সাধারণ মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য এসেছি,।কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজের স্বার্থের জন্য তার অনুসারী দিয়ে আমাদের হেনস্তার চেষ্টা করে।আমি এসবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।এবং এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।