দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। যাদের কারণে আমরা এ দেশ পেয়েছি তারা হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যারা ১৯৭১ সালে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করলে আমরা এ দেশ পেতাম না।

স্বাধীনতার ৪৯ বছরে এসেও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত সিপাহীর সন্তান চিকিৎসার অভাবে টিউমার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে বিছানায় পাঞ্জা লড়ছে।

তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ঘোগারকুল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত সিপাহী মরহুম সামছুল ইসলামের ২য় ছেলে রয়ফুল ইসলাম। ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা সামছুল ইসলাম স্ত্রী ও তিন ছেলে সন্তান রেখে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারটি। বড় ছেলে সেফুল ইসলাম সিএনজি অটোরিকশা চালক। প্রতিদিনের আয় দিয়ে পরিবারের খরচ চালিয়ে রয়ফুলের চিকিৎসার খরচ চালানো কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।

রয়ফুল ইসলামের শরীরে আজ থেকে ৩ বছর আগে কয়েকটি টিউমার ধরা পড়ে। পরে টিউমার ইনফেকশন হয়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এখন ক্যান্সারের ব্যয়বহুল খরচ চালানো পরিবারের পক্ষ সম্ভব হচ্ছে না। তাই সে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে।

রয়ফুল ইসলামের বড় ভাই সেফুল ইসলাম বলেন, পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম আমি। পরিবারের খরচ চালিয়ে ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ চালানো কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই দীর্ঘদিন থেকে মামার বাড়িতে আছি।

তিনি বলেন, আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনীর সন্তান হয়েও চিকিৎসার খরচ পাচ্ছি না। সরকারিভাবে আমাদেরকে কোন সহযোগিতা করা হচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমার ভাইয়ের চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে আমাদেরকে যেন সহযোগিতা করা হয়।

রয়ফুল ইসলামকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা তার বড় ভাই সেফুল ইসলামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন (বিকাশ 01893-364412) এই নাম্বারে।

বিয়ানীবাজারের মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রামে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া