সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে ব্যাপক সুপারি চাষ। বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর পাড়সহ নানাস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব  সুপারির গাছ। আর ভাদ্র, আশ্বিন মাস এলেই শুরু সুপারি বিক্রির তোড়জোড়। এগারটি সুপারিতে এক’ঘা, চল্লিশ ঘা’তে এক’ভি আর প্রতি ভি (৪৪০)টি ৮০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য গত গেল বছর থেকে দেশের বিভিন্নপ্রান্থে সুপারির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আগের চাইতে এখন দাম একটু বেশী। সিলেট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সুপারি সরবরাহ করা হচ্ছেক বলে জানান সুপারি চাষীরা।

উপজেলার জকিগঞ্জ বাজার, কালিগঞ্জ, শাহগলী, বাবুর বাজার, শরীফগঞ্জ, সোনাসার বাজারে প্রতিদিনই চলছে ব্যাপক সুপারি কেনাবেচার ধুম। এছাড়াও উপজেলার পল্লী এলাকার প্রতিটি ছোট ছোট বাজারে সুপারি কেনাবেচা হয়।

জকিগঞ্জে সুপারি চাষে বিপ্লব হওয়াতে প্রায় প্রতিটি পরিবারে অনেকটা স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। কারণ প্রতিটি বাড়িতেই সর্বনিম্ন ৫০হাজার আর সর্বোচ্চ ৩লক্ষ টাকার সুপারি বিক্রি করা হয়। সুপারি ব্যবসায় জন্যই শুধুমাত্র এ ৫-৬ মাসের জন্য নতুন নতুন ভ্রাম্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। এতে সুপারি ক্রেতা ও বি্ক্রেতা এবং শ্রমিক মিলে কয়েক’শ মানুষের সাময়িক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার বাড়ি বাড়ি ঘুরে সুপারি কিনে বড় বাজারগুলোতে বিক্রি করে থাকে স্থানীয় ফড়িয়ারা। হাইল ইসলামপুর গ্রামের আবুল মিয়া, আনারসি গ্রামের জমির আলী, রহিমখার চকের মা্সুক মিয়া, পাঠানচকের শামীম আহমদ, আব্দুল কাদির জানান- সুপারি কিনে সিলেটসহ ঢাকা, রংপুর, কুড়িগ্রামের আড়তসমূহে বিক্রি করেন। তবে বাহিরের ক্রেতারা জকিগঞ্জ আসার পর থেকে সুপারির দাম কিছুটা বেড়ে গেছে।

স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ীরা জানান- ইতোমধ্যে পুরোদমে সুপারি বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। জকিগঞ্জ বাজারে রবি ও বৃহস্পতিবারে প্রায় কোটি টাকার সুপারি কেনেন তারা। দুই বা তিনদিন পর পর বড় ট্রাক দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়। তবে এবার সুপারির ফলন গেলবারের চেয়েও কম বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান।