বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪। ০৯ জানুয়ারি ২০১৭।

বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই চার বছর থেকে। কমিটি বিহীন উপজেলা ছাত্রলীগ বিবদমান ৬টি বলয়ে বিভক্ত রয়েছে। শীঘ্রই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের দাবি জানালেও নেতাকর্মীদের বার বার হতাশা হতে হয়েছে।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগ থেকে উপজেলা বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হবে। জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীলরা এসব কমিটি অনুমোদন করলেও অদৃশ্য কারণে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের কমিটি গঠন থমকে আছে।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি বাতিল করে। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের উপজেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন আহবায়ক জামাল হোসেন অনুসারিদের নিয়ে হামলা চালালে জেলা ছাত্রলীগ কমিটি বাতিল ঘোষণা করে। এর পর থেকে অভিভাবকহীন রয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ।

২০০৩ সালে জামাল হোসেনকে আহবায়ক এবং আবুল কাশেম পল্লব ও জাকির হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে জেলা ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করে। ২০০৬ সালে যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন প্রবাস চলে গেলে এ কমিটি কার্যকারিতা হারায়। ২০১২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরিন কোন্দলের জের ধরে আহবায়ক জামাল প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে পৌরশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের বিয়ের অনুষ্ঠানে আহবায়ক জামাল হোসেন অনুসারিদের নিয়ে হামলা চালালে জেলা ছাত্রলীগ কমিটি বাতিল করে।

উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন তারেক বলেন, কোন কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ছাত্রত্ব শেষ করে রাজপথের নেতাকর্মীদের অন্যতম ছাত্রনেতা হিসাবে বিদায় নিতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য চরম হতাশার একটি বিষয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার হোসেন সামাদ বলেন, জেলা সব উপজেলার মতো শীঘ্রই বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান অতিথি করে জানুয়ারিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন করার আমাদের চিন্তা রয়েছে। অতিতেও কমিটি গঠনের পরিবেশ তৈরী হওয়ার পরও অদৃশ্য কারণে আটকে গেছে এ প্রশ্নের উত্তরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এবার আর আটকাবে না। সুন্দর পরিবেশে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে। তবে শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া সময়সূচীর উপর নির্ভর করবে সম্মেলন আয়োজনের।