করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় বন্ধ থাকা সকল দোকানপাট ও বিপণী মার্কেট সরকারি নির্দেশে শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হলেও বিয়ানীবাজার পৌরশহরের প্রধান চার বিপণী মার্কেট আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, বিপরীর চিত্র দেখা গেছে উপজেলার চারখাই বাজারে। সেখানে সকল দোকানপাট ও বিপণী মার্কেট খোলা রয়েছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ শর্তগুলো মানছেন না। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি পূর্বাপেক্ষা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা যায়, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের স্মারক মোতাবেক লকডাউনকৃত অংশ ব্যতীত শর্ত সাপেক্ষে ১০ মে হতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস পরিধানসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের জন্য মার্কেটে যাতায়াত করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যও বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-প্রতিটি শপিংমল, মার্কেট ও বিপনী বিতানের প্রবেশ পথে জীনানুনাশক স্প্রে করা, স্ক্যানার স্থাপন করা, ‘স্বাস্থ্য বিধি না মানলে মৃত্যু ঝুকি আছে’ লেখা সম্বলিত ব্যানার টানানোসহ ক্রেতা-বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারী সকলকে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস পড়া বাধ্যতামূলক।

রোববার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চারখাই বাজারে ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন। চারখাই বাজারের সবকটি দোকানপাট ও বিপণী মার্কেটে পুরুষ্ব মহিলা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতাদের এমন আনাগোনা দেখে মনে হচ্ছে যেন মানুষের জীবনের চেয়েও ঈদ আনন্দ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, এসব দোকানপাট ও মার্কেট বিপনী বিতানে কোথাও আরোপিত শর্তগুলো মানা হচ্ছে না। ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকের মুখে মাস্ক, হাতে হ্যান্ডগ্লাভস নেই ও সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। গাঁ ঘেষে ক্রেতারা বসছেন। কোনো বিপনী বিতানের সামনে স্বাস্থ্য বিধি সম্বলিত ব্যানার নেই। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে, স্থানীয় সচেতন মহল চারখাই বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এবং প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। এভাবে অসচেতন হয়ে দোকানপাঠ ও মার্কেটে ঘুরাঘুরি করলে এবং বহিরাগতদের ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা থাকলে চারখাই ইউনিয়নের মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে বাহিরে যাওয়া লাগবে না বলে মনে করছেন তারা। তাই জনস্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বাস্থ্যবিধি ও শর্তগুলো মানতে বাধ্য করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা জরুরী বলে জানিয়েছেন তারা।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-