আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দায়িত্বশীল এমন এক ডজন নেতা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। সিলেট ও বিয়ানীবাজারে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা, আয়-ব্যয়ের পাশাপাশি গত দশ বছরে তাদের আর্থসামাজিক পরিবর্তন ও উন্নতির বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। একই সাথে ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে বর্তমান অবস্থান যাচাই করা হচ্ছে।

রাজধানীতে ক্যাসিনোকাণ্ডে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সম্পৃক্ততা এবং গ্রেফতারের পর সারাদেশে আওয়ামী লীগে বিশুদ্ধকরণের নির্দেশনা জারি হয়। সংগঠনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নির্দেশ আসার পর সরকারের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব প্রশাসন মাঠে কাজ শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ডিজিএফআই এর এক দায়িত্বশীল গোয়েন্দাগিরির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এমন কিছু নেতা রয়েছেন যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা গত ১০ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ডজন খানেক নেতার বিষয়ে খোঁজ নেয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার দলের এসব নেতা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীল। কেউ কেউ বিয়ানীবাজারের বাইরে বসবাস করেন। তাছাড়া এ তালিকায় ২/১জন প্রবাসীও রয়েছেন। তবে তিনি গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা নেতাদের নাম বলতে রাজি হননি।