গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টায় গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমী প্রাঙ্গনে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে দাড়িপাতন স্থানীয় গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এর আগে সিলেট হিমাগার থেকে দুপুর ১২টার দিকে এম্বুল্যান্স মরহুমের লাশ নিজ বাড়ীতে আনলে এক নজরে দেখার জন্য শত শত ভিড় জমান। কান্নায় ভেঙে পড়েন মরহুমের আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশীরা। বাড়িতে ২টা পর্যন্ত লাশ রাখার পর গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমী প্রাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া হয়। মরহুম ফজলুর রহমানের জানাজার নামাজে রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের সরব উপস্থিতি ছিল।

এদিকে মরহুম ফজলুর রহমানের জানাজার নামাজের ইমামতি করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা হেলাল উদ্দিন ঘোষগাও। এরপূর্বে উপস্থিতি মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবী আমিনুর ইসলাম রাবেল ও মরহুমের ভাই হেলিম আহমদ। মরহুমের জানাজায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ইবনেসীনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজ্রিস্টার বদরুল ইসলাম শোয়েব, কানাডা আওয়ামালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দৈনিক শুভ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সরওয়ান হোসেন, বিশিষ্ট আইনজীবি এডভোকেট আব্দুর রকিব, জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী রফিক আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হেলালুজ্জামান হেলাল, সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহম পাপলু, পৌর কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খানসহ গোলাপগঞ্জ ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিগন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার উপজেলার হেতিমগঞ্জ মোল্লাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ট্রাক ও সিএনজি অটোরক্সা সংঘর্ষে ফজলুর রহমান গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় নিহত হন দু’সহোদর। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ইবনেসীনা ক্লিনিকে ফজলুর রহমানকে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তারের পরামর্শে লাইফ সাপোর্ট কেন্দ্র রাখা থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।